ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪
বাচ্চাদের কথা বলা

বাচ্চাদের কথা বলার কিছু সাধারণ সমস্যা

20Fours Desk | আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ২০:০৭
বাচ্চাদের কথা বলার কিছু সাধারণ সমস্যা

নতুন নতুন কথা শেখার সময় ছোটখাটো ভুল বাচ্চারা করবেই, এগুলো নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এছাড়াও সাধারণ কিছু সমস্যা দেখা যেতে পারে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে, সেগুলো হলো:

কোনো শব্দকে ভুল উচ্চারণ করা। যেমন—ডিমকে ‘তাম’ বলে কিছু কিছু বাচ্চা। এক্ষেত্রে সময় থাকতে বাচ্চাদের ভুল শুধরে দেয়া উচিৎ।

কোনো শব্দ অর্ধেক উচ্চারণ করা, যেমন - মোবাইলকে ‘মোবাই’ বলা। নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত এরকম ভুল হওয়া স্বাভাবিক, ভুল শুধরে দেয়ার পরও যদি বড় হয়ে বাচ্চারা এভাবে কথা বলে তাহলে স্পিচ থেরাপি দিতে হয়।

কথা শুনে তা বুঝতে না পারা, দিক চিনতে না পারা, প্রশ্নের উত্তর না দেয়া, কোনো তথ্য শুনে তা বুঝে নেয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।

জটিল বাক্য গুছিয়ে বলা, শব্দ নির্বাচন, সঠিক শব্দ ব্যবহার করে বাক্য তৈরি করার বেলায় সমস্যা হওয়া।

সমবয়সী কারও সঙ্গে কথা বলা, খেলা করার বেলায় সমস্যা হওয়া। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাচ্চার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে তা অটিজমের লক্ষণও হতে পারে।

পড়ার সময় শব্দ উচ্চারণে জড়তা দেখা দেয়া।

অভিভাবকরা মনে রাখবেন

বাচ্চাদের কথা বলায় সমস্যা হতেই পারে, তবে যত কম বয়সে সমস্যাটি ধরা পড়বে, তত দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। যদি আপনার সন্তানের কথা বলায় কোনো ধরনের সমস্যা চোখে পড়ে, দেরি না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। বিশেষ করে তোতলানো, কম কথা বলা, অক্ষরজ্ঞান সম্পর্কিত সমস্যাগুলো অবহেলা করা উচিৎ নয় একদমই।

যদি আপনার সন্তান স্কুলে যাওয়া শুরু করার পড়ার পরও আপনি এই লক্ষণগুলো দেখতে পান, হতাশ হবেন না। বয়সে বড় শিশুদের ক্ষেত্রে কথা বলার সমস্যা দূর করতে একটু বেগ পোহাতে হয়, তবে ধৈর্য ধরলে সবই সম্ভব।

শিশুর কথা বলা শেখাতে যা করা যাবে না

১। শিশুকে কথা বলার জন্য অত্যধিক চাপ যেমন- 'বল, বল' ইত্যাদি একেবারেই করা যাবে না।

২। বাবা মায়ের এক ধরণের প্রবণতা বেশী দেখা যায় সেটা হল শিশুকে একসঙ্গে অনেক শব্দ শেখানোর চেষ্টা করা। এতে শিশু কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি কিছুটা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাব্যবস্থা। সঠিক সময়ে এই পদ্ধতির কৌশলগত প্রয়োগ হলে শিশু কথা এবং যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে উন্নতি করবেই।

৩। শিশুকে অযথা অপ্রাসঙ্গিক অথবা অতিরিক্ত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪। অনেক মা-বাবাই ভাবেন, অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুর সঙ্গে তাদের পিছিয়ে পড়া শিশুর খেলার পরিবেশ করে দিলেই আপনা আপনিই কথা শিখে যাবে। কিন্তু মনে রাখবেন, এমনটা না-ও হতে পারে। তাই নিজেরা বাড়িতে চেষ্টা করুন, প্রয়োজনে স্পিচ থেরাপির সহায়তা নিতে হবে।

পরিশিষ্ট

উপরের টিপসগুলো যে বাচ্চারা একটু দেরিতে কথা শেখে তাদের জন্য প্রযোজ্য। তবে অন্য কোন প্রতিবন্ধকতার কারণে বাচ্চা কথা না বললে সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

উপরে