অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়গুলো
ঘাম হওয়া শরীরের স্বাভাবিক প্রবণতা। ব্যায়াম করা, উষ্ণ আবহাওয়া, ভয় বা রাগের কারণে ঘামার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা,হরমোন ক্ষরণ ইত্যাদি নানান কারণে বেশি ঘাম হতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম হলে তার দুর্গন্ধ ও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গা, যেমন- হাতের তালু, পায়ের নিচে, বগল, গলা, কপাল, এমনকি মাথার স্ক্যাল্পেও অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
আসুন তাহলে ঘাম নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নেইঃ
১। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানঃ
শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সবথেকে উপকারি হল যথেষ্ট পরিমানে পানি খাওয়া। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
২। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়াঃ
সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের অতিরিক্ত নুন বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার খেলেও ফ্যাটের পাচন ঘটাতে গিয়ে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই ধরণের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
৩। ধূমপান এড়িয়ে চলাঃ
ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফিন গ্রহণ করলে স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর বেশি ঘামে। তাই যতটা সম্ভব এগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে।
৪। টমেটোঃ
টমেটোতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঘর্মগ্রন্থিকে সংকুচিত করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান অতিরিক্ত ঘামানোর প্রবণতা কমায়।
৫। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারঃ
ঘাম নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার নিয়মিত খেলে ত্বকের পিএইচ স্তর ঠিক রাখতে সাহায্য করে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার অভ্যাস করলেও অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
৬। সাদা চন্দন গুঁড়োঃ
সাদা চন্দন ত্বক শুষ্ক রেখে ঘাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা বিভিন্ন উৎসেচক ত্বকের অতিরিক্ত ঘাম শোষণ করে নেয়। এছাড়া চন্দনের সুগন্ধ ঘাম থেকে তৈরি দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
৭। লেবুঃ
প্রাকৃতিক ডিওডরেন্ট হিসেবে কাজ করে যা ঘাম থেকে হওয়া দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
৮। লাল চাঃ
লিকার চায়ে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড ঘাম প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া লিকার চা ঘর্মগ্রন্থি সংকোচন করে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতেও লিকার চা উপকারী।