পাইলস উপশমে ঘরোয়া উপায়

পাইলস রোগটি যাদের হয় কেবল তারাই বুঝে এর ভয়াবহ যন্ত্রণার কথা। পাইলস রোগের কথা বলছি। মানবদেহের তীব্র বেদনাদায়ক এবং জটিল রোগগুলোর মধ্যে অর্শ বা পাইলস হলো একটি। এটি মানুষের মলদ্বারের রোগ। এ রোগে মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে, চারপাশে বা একপাশে, একটি বা একাধিক, গোলাকৃতি বা সুচাল গুটিকা দেখা দেয়। এ গুটিকাগুলোকে বলি বা গেজ বলা হয়। পায়খানা করার সময় এগুলো থেকে রোগী ভেদে অল্প কিংবা বেশি রক্ত যায়। এ সমস্যার জন্য সবচেয়ে ভালো হল ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। তবে ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যেগুলো অনুসরণ করলে পাইলস রোগ প্রতিরোধ বা উপশমে সহায়তা করে।তাইতো আজকের লেখায় আমরা আপনাদের জানাবো ঘরোয়া উপায় মেনে পাইলস দূর করার পদ্ধতি।
বরফঃ ভাবছেন, বরফ কীভাবে পাইলস সারাবে? এটি আসলে পাইলস দূর করার অন্যতম ঘরোয়া উপায়। বরফ রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং ব্যথা দূর করে। একটি পরিষ্কার কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে মিনিট দশেক রাখুন। দিনে কয়েকবার ব্যবহার করুন। পাইলস থেকে মুক্তি মিলবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃএকটি তুলোর বল নিন। এবার তাতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে ব্যথার স্থানে ব্যবহার করুন। প্রথমে কিছুটা জ্বালাপোড়া অনুভব করলেও পরক্ষণেই তা কমে যাবে। এটিও দিনে একাধিকবার করুন।
অ্যালোভেরাঃ আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে আরাম পাবেন। এটি জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেবে অনেকটাই। অ্যালোভেরা পাতার ভেতর থেকে জেল বের করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। এরপর সেই ঠান্ডা অ্যালোভেরা আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। পাইলস থেকে মুক্তি পেতে এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েল আছে বাড়িতে? ফুডগ্রেড অলিভ অয়েল দিনে এক চা চামচ করে খান। এটি শরীরের প্রদাহ হ্রাস করে এবং মোনোস্যাচুরেটেড চর্বি উন্নত করে থাকে। পাশাপাশি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
আদা ও লেবুর রসঃ শরীরে পানিশূন্যতা পাইলসের ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই পানিশূন্যতা দূর করতে আদাকুচি, লেবু এবং মধু মিশ্রিত জুস দিনে দুইবার পান করুন। এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি পাইলস নিরাময়ে সাহায্য করে। দিনে অন্তত আট-দশ গ্লাস পানি পান করুন।