নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধের ব্যবহার

অনেক সময় দুধ জ্বাল দিতে গিয়ে ফোটানোর সঙ্গে সঙ্গে খেয়াল করলে দেখা যায় তা ফেটে ফেটে যাচ্ছে, অর্থাৎ সেই দুধ আর খাওয়া যাবে না। ফেলে দিতে হবে। দুধ দিয়ে যা তৈরি করতে চাচ্ছিলেন, তাও তৈরি করা যাবে না। এমন অবস্থায় আমরা আর কী করি, নষ্ট দুধটুকু ফেলেই দেই।
কখনো কি ভেবেছেন, নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধও না ফেলে দিয়ে কাজে লাগানো যায়। ফেটে যাওয়া দুধেরও রয়েছে নানান ব্যবহার। ভাবছে কি? চিন্তা নেই আজকের লেখায় আমরা আপনাদের জানাবো নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধের ব্যবহার।
আসুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধের ব্যবহার ঃ
১। দুধ যদি ফেটে যায়, তা অনায়াসে সালাড ড্রেসিং-এর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন দুধটা যেন পাস্তুরাইজড মিল্ক না হয়।
২। ঘরের দুধ ফেটে গেলে তা ফেলে না দিয়ে চিজ বানিয়ে ফেলুন। কীভাবে ঘরে চিজ বানাবেন, তার রেসিপি ইন্টারনেটে সহজেই পেয়ে যাবেন।
৩। প্যানকেক, কেক এবং ওয়াফেল-এর মতো অনেক ডেজার্টেই ফেটে যাওয়া দুধ দিতে হয়। তাই দুধ ফেটে গেলে ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন।
৪। নষ্ট দুধ আপনার ত্বকের জন্য কিন্তু দারুণ উপকারী। কেটে যাওয়া দুধ মুখে ফেস মাস্কের মতো লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন, ত্বক ঝলমল করে উঠবে।
৫। নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ আপনি খেতে না পারলেও আপনার পোষা বেড়ালটা কিন্তু ভালোবেসেই খাবে। কারণ নষ্ট দুধের গন্ধ ওদের ভালো লাগে।
এছাড়াও বাগানে গাছের গোড়ায় নষ্ট দুধ দিলে আপনাকে সার দিতে হবে না। দেখবেন আপনার নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধেই কীভাবে চারাগাছগুলো তরতরিয়ে বাড়তে থাকে।