ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
নববর্ষ

দেশে দেশে নববর্ষ

20Fours Desk | আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০২:৫৭
দেশে দেশে নববর্ষ

আর কয়েকদিন পরেই উঠবে নতুন একটি সূর্য। আসবে নতুন একটি বছর। পুরোনোকে ঝেড়ে ফেল নতুন ভাবে, নতুন উদ্যামে ছুটে চলব আমরা। নতুন বছরকে ঘরে আমাদের প্রস্তুতিও কিন্তু কম না । নানা ভাবে আমরা নতুন বছরকে বরং করে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি । কত আনন্দের সাথে বছরে শেষের এবং শুরু দিনটি পালন করা যায় তার কতই না পরিকল্পনা করছি আমরা । আচ্ছা কখনো কি ভেবে দেখেছি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষেরা কিভাবে এই দিনটি পালন করে ।সবার উদযাপন কি একই ? কী কী করে তারা এই দিনে? আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিভাবে ইংরেজি নববর্ষ পালনের সামান্য চিত্র ।

যুক্তরাষ্ট্রঃ
যুক্তরাষ্ট্রের নববর্ষ উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু হয় টাইমস স্কোয়ার। এ দিনে টাইম স্কোয়ার যেন পরিণত সবার মিলন মেলায় । প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করে নতুন বছরের এ অনুষ্ঠানে ।


এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিউ-ইয়ার পার্টি। এখানে অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক ১০ সেকেন্ড আগে ক্রিস্টালের এক বিশালাকার বল নেমে নতুন বর্ষের আগমনের কাউন্টডাউন শুরু করে। এ সময় সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় । ঠিক রাত ১২ টা বাজার সাথে সাথে পুরো টাইম স্কোয়ারে শুরু আলোর ঝলকানি আর আতশবাজি ।   

ইংল্যান্ডঃ
ইংল্যান্ডে একটি অদ্ভুত ধারনা প্রচলিত রয়েছে । ইংল্যান্ডের অধিবাসীরা মনে করে যে, নিউ ইয়ারের মধ্য রাতে যদি কোনো পুরুষ আসে তাহলে সে সৌভাগ্যের বার্তা নিয়ে আসে। এদিনে বাসার পুরুষ সদস্যরা তাদের বাসায় আসার সময় নানা রকম সাংসারিক জিনিসপত্র ও উপহার সামগ্রী নিয়ে আসে যাতে সারা বছর এ সব জিনিসের কমতি না হয়। তবে মজার ব্যাপার হলো,  মধ্যরাতের পর বাড়িতে পা দেয়া প্রথম মানুষটি অবশ্যই সোনালি বা লাল চুলওয়ালা এবং মহিলা হতে পারবে না। তাহলে  বাড়িতে সৌভাগ্যের বদলে আসতে পারে দুর্ভাগ্য। এদিনে সন্ধ্যার পর থেকেই সবাই সমবেত হতে থাকে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ার এবং পিকাডেলি পার্কে । বিগ বেঙ্কে সাজানো হয় আলোকসজ্জ্বা দিয়ে। রাত ১২ টা বাজার সাথে সাথে বেজে উঠে বিগ বেনের ধ্বনি ।আর এরই সাথে সাথে  পুরো লন্ডন শহর মেতে উঠে নিউ ইয়ারের উৎসবে ।

বাংলাদেশঃ 

বাংলাদেশে প্রধানত নববর্ষ হিসেবে পহেলা বৈশাখকে সবচেয়ে জাকজমকভাবে উদযাপন করা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবেও এ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। তবে ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ উৎসব অনেকটা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক পালিত হয়ে থাকে আমাদের দেশে । বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ অনুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে ।

ভারতঃ
ভারতে সম্রাট আকবরের সময় যে নওরোজ উৎসব হতো তা সর্বভারতীয় উৎসবের মর্যাদা পায়নি। অনেকে ভারতীয় বর্ষবরণ উৎসবকে দিওয়ালি উৎসব বলে অভিহিত করেন। এটি পালিতহয় বিভিন্ন রাজ্য বা সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী। পাঞ্জাবে নববর্ষ উৎসব পরিচিত বৈশাখী নামে। নববর্ষে পুষ্পসজ্জা প্রায় সর্বভারতীয় রেওয়াজ, দক্ষিণ ভারতের অঞ্চলবিশেষের মজাদার খাবার ও পুষ্পাহার গুরুত্বপূর্ণ প্রথা। তবে বর্তমানে ইংরেজি নববর্ষ পালন সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান।

ফ্রান্সঃ
ফ্রান্সেও রয়েছে আজব এক রীতি ।এ দেশে বছরের শেষ দিনে সবার বাসায় যে পুরানো বা অবশিষ্ট   মদ থাকে তা অবশ্যই শেষ করতেই হবে। তবে তা ফেলে দিলে চলবে না, খেয়েই শেষ করতে হবে৷ তা না হলে তা সৌভাগ্য ঘরে আসবে না। প্যারিসের আইফেল টাওয়ার সাজানো হয় না না রকম আলোক সজ্জ্বায় । রাত ১২ টা বাজার সাথে সাথে শুরু হয় কান ফাটানো আতশবাজি । পুরো প্যারিসের আকাশ ছেড়ে আতশবাজির আলোক ছটায় । ফরাসিরা  কে বলে দে এটরেনর্স থার্টফাস্ট নাইটকে বলে সেইনট সিলভেষ্ট্রে। এছাড়া এদিনে তারা প্যাল দে রাইস নামক এক ধরনের বিষেশ কেক বানায় ।

অস্ট্রেলিয়াঃ
অস্ট্রেলিয়াতে নিউ ইয়ারে সবাই সমবেত হয় সিডনিতে। সিডনির অপেরা হাউজ সাজানো হয় নানা রকম আলো দিয়ে । নিউ ইয়ার উপলক্ষে প্রায় ১ লাখ আতশবাজী ফোটানো হয় এবং এটি দেখার জন্য প্রায় ১৫ লাখ মানুষ জড়ো হয় সিডনীর অপেরা হাউজের পাশে ফাকা জায়গায় ।

চীনঃ
চীনে নিউ ইয়ার পালিত হয় একটু ভিন্ন ভাবে। চীনারা নিউ ইয়ার পালন করে তাদের নিজস্ব প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী। পূর্ণিমার শুরুর দিন থেকে শুক্লপক্ষের পনেরো দিন উৎসব চলে তাদের নববর্ষ উপলক্ষে। নববর্ষের প্রথম দিনে তারা স্বর্গ ও পৃথিবীর দেবতাকে তুষ্ট করে নানা উপাসনা-উপাচারে, দ্বিতীয় দিন পূর্বপুরুষের মঙ্গল কামনা করে। ওয়েইলু’ নামক বিশেষ ভোজনের আয়োজন করা হয় এ দিন। পক্ষব্যাপী আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানের মধ্যে সপ্তম দিনটি পালিত হয় শস্য দিবস নামে।

মেক্সিকোঃ
মেক্সিকোতে রাত ১২ টা বাজার সাথে সাথে ১২ বার ঘন্টা বাজিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয় । এ সময় প্রতি ঘন্টার ধ্বনির সাথে সাথে  একটি করে আংগুর খাওয়ানো হয় । তারা বিশ্বাস করে এ সময় যা কামনা করা হয় তাই পুরণ হয় । তাই এ সময় প্রায় এক লাখ লোক জড়ো হয় । সবাই আগামী দিনের জন্য মঙ্গল কামনা করে ।

স্কটল্যান্ডঃ
স্কটল্যান্ডে এ সময় সবাই নিজেদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে নতুন বছরের আগমনের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় জুনিপার গাছের ডাল পোড়ানো হয়। নববর্ষের দিন যে মানুষ প্রথম বাড়িতে পা রাখে সে-ই ওই বছর বাড়ির সদস্যদের ভাগ্য নির্ধারণ করে। স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় যে নববর্ষ উৎসব হয় তা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। চার দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে।

প্যারাগুয়েঃ
প্যারাগুয়ে বছরের শেষ পাঁচদিন তাদের ঘরে কোনো আগুন জ্বলে না। হয় না কোনো রান্না। ওই পাঁচদিনকে তারা পালন করে ‘ঠান্ডা খাবার খাওয়ার দিন’ হিসেবে। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর নতুন বছরের ঘণ্টা বাজলে হেঁসেলে আগুন জ্বেলে নতুন নতুন পদ, একসঙ্গে খেয়ে নতুন বছরে পা দেন তারা।

পোল্যান্ডঃ
পোল্যান্ডেও বর্ষবরণটা বেশ মজার। এখানকার তরুণীরা বর্ষবরণের রাতে খরগোশের মতো পোশাক পরে জড়ো হয়। এরপর খরগোশের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি জোগাড় করে। তারপর ওই শাক-সবজির যতটা সম্ভব চিবিয়ে খায়! শাকসবজি খেয়ে নতুন বছরে পা দিলে নাকি নতুন বছরের দিন সুন্দর হবে।

বুলগেরিয়াঃ
বুলগেরিয়ায় বর্ষবরণের দিন হাঁচি দেয়া বেশ মঙ্গলের। বর্ষবরণের দিন তাদের বাড়িতে আসা কোনো অতিথি যদি হাঁচি দেন, তাহলে বাড়ির কর্তা তাকে নিজের খামারে নিয়ে যান। এরপর ওই ব্যক্তির প্রথম নজর যে পশুর ওপর পড়বে, সেই পশুটি ওই ব্যক্তিকে উপহার দেয়া হয়।

হাঙ্গেরিঃ
বছরের শেষ দিন হাঙ্গেরিবাসী হাঁস, মুরগি বা কোনো ধরনের পাখির মাংস খান না। উড়তে পারে এমন পাখির মাংস খেলে নতুন বছরে জীবন থেকে সব সৌভাগ্য উড়ে যাবে! তারা নতুন বছরে পরিচিত বা বন্ধুদের যে উপহার দেন, তাতে চিমনি পরিষ্কার করছেন এমন একজন শ্রমিকের ছবি থাকে। উপহারে এই ছবিটি থাকলে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ নতুন বছরে মুছে যাবে।

ভিয়েতনামঃ
ভিয়েতনামের উত্তরের সংখ্যালঘু জাতি বছরের শেষদিনে প্রতিদিন জল সংগ্রহ করার জলাধারে দলবেঁধে গিয়ে মোমবাতি জ্বেলে মাটিতে মাথা ছুঁইয়ে প্রণাম করে এক কলস জল নিয়ে আসে। এরপর ওই জল দিয়ে বছরের প্রথম দিন রান্না করে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে উৎসর্গ করার পর নিজেরা খায়। বছরের প্রথম দিনে স্যুপ জাতীয় খাবার থাকে না। এছাড়া অনেকে নদী বা পুকুরে কার্প মাছ ছাড়েন।

আফ্রিকাঃ
আফ্রিকার মাদাগাস্কারে নতুন বছর শুরুর সাতদিন আগে থেকে মাংস খাওয়া বন্ধ। বছরে প্রথম দিন বাড়িতে মুরগির মাংস রান্না হবে। প্রথমে তা খেতে দেয়া হবে বাবা-মাকে। বাবা-মাকে খেতে দেয়া হয় মুরগির লেজের দিকের অংশটা। আর ভাই-বোনদের দেয়া হয় মুরগির পা।

ব্রাজিলঃ
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো সমুদ্রসৈকতে নববর্ষের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হয়। এর অন্যতম আকর্ষণ চোখধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী। এ দিন অনেকেই সাদা পোশাক পরে। সমুদ্রে সাতটি ডুব দিলে এবং সাতটি ফুল ছুড়ে দিয়ে তারা মনে করে বছরটি খুব ভালো কাটবে। এ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটক যোগ দেয়।

জার্মানিঃ
প্রতিবছর নিউ ইয়ার ইভ, অর্থাৎ নববর্ষের আগের রাতে জার্মানরা ব্রিটিশ শো “ডিনার ফর ওয়ান” দেখে নববর্ষ উদযাপন শুরু করে। ১৯৭২ সাল থেকে আজ অবধি এই একটি শো দেখে নববর্ষ উদযাপন করছে তারা। এখানে মানুষ ঠান্ডা পানির মধ্যে তরল সিসার টুকরা ঠেলে দেয়। সিসার টুকরা যে রকম আকার বানায় তা দেখে ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা হয়। নববর্ষের আগে খাওয়া খাবারের কিছু অংশ মধ্যরাতের জন্য রেখে দেয়া হয়, যাতে করে নতুন বছর ঘরে পর্যাপ্ত খাবার থাকে।

জাপানঃ
জাপানে নববর্ষের সময় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। খারাপ আত্মাকে দূরে রাখার জন্য এ সময় বাড়ির বাইরে দড়ি দিয়ে খড়ের টুকরো ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এটাকে তারা সুখ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখে। নতুন বর্ষ শুরু হওয়ার সাথে সাথে জাপানিরা হাসা শুরু করে, এতে নতুন বছর সৌভাগ্য নিয়ে আসে।

আর্জেন্টিনাঃ
আর্জেন্টিনায় নববর্ষের আগের দিন রাত্রে পরিবারের সবাই একত্রে খাবার টেবিলে বসে আহার করে। ভোর পর্যন্ত চলে নানা অনুষ্ঠান। নববর্ষের প্রথম দিন নদী বা পুকুরে সাঁতার কেটে তারা নববর্ষ উদযাপন করে।

কোরিয়াঃ
কোরিয়াতে নববর্ষ শুরুর সময় কেউ ঘুমায় না। এ সময় ঘুমালে নাকি চোখের ভ্রূ সাদা হয়ে যায়! রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে টিভিতে ৩৩ বার ঘণ্টা বাজানো হয়। কোরিয়ার ৩৩ বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি করা হয়। কোরিয়াতে প্রায় সবাই সূর্যোদয় দেখে। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ার সময় একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানায়।

চিলিঃ
মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপনের রীতি রয়েছে চিলিতে। ১৯৯৫ সালে দেশটির টালকা নামক এক ছোট শহরে একটি কবরস্থানের বেড়ার উপর দিয়ে লাফিয়ে বাবার সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করতে ভেতরে ঢুকেছিল একটি পরিবার। এরপর থেকে প্রতিবছর এই শহরের মানুষেরা মাঝরাতে কবরস্থানে গিয়ে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করে নতুন বছরটি।

ইকুয়েডরঃ
কাকতাড়ুয়া পোড়ানোর মাধ্যমে নতুন বছরে খারাপ ভাগ্যকে বিদায় দেয় ইকুয়েডরের মানুষেরা। কাকতাড়ুয়া তৈরি করে প্রতিটি পরিবার মাঝরাতে তা পোড়ায়। আর এই কাকতাড়ুয়া পোড়ানোর মাধ্যমে তারা গত এক বছরের সব অমঙ্গল ও অশুভকে বিদায় দেয়। তাদের বিশ্বাস কাকতাড়ুয়া পোড়ালে তা তাদের জন্য নতুন বছরে সৌভাগ্য বয়ে আনবে।

ডেনমার্কঃ
ড্যানিশরা নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রতিবেশীদের বাড়ির সামনে বাসনকোসন ছোড়ে। তাদের বিশ্বাস, যার বাড়ির সামনে সবচেয়ে বেশি বাসন থাকবে, সে সবচেয়ে বেশি সৌভাগ্যবান কারণ তার সবচেয়ে বেশি ভালো বন্ধু আছে।

আয়ারল্যান্ডঃ
আয়ারল্যান্ডের অবিবাহিত মেয়েরা নবর্ষের আগেররাতে তাদের বালিশের নিচে মিস্টলটো নামক লতানো গাছের পাতা রেখে দেয়। তারা বিশ্বাস করে এই পাতা বালিশের নিচে রাখলে তারা ভালো বর পাবে এবং দুর্ভাগ্যের কবল থেকে রেহাই পাবে।

স্পেনঃ
স্পেনের মানুষও একটু ভিন্নভাবে শুরু করে নতুন বছর বরণের আয়োজন। ৩১ ডিসেম্বর রাত বারোটা বাজার আগেই মাদ্রিদের প্লাজা ডি এস্পানা-তে জড়ো হয় অসংখ্য মানুষ। তারপর বছরের শেষ ১২ সেকেন্ড, অর্থাৎ বারোটা বাজার আগের শেষ বারো সেকেন্ডে প্রতি সেকেন্ডে একটি করে আঙ্গুর খাওয়া হয়। এভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে নেয় স্প্যানিশরা।

রাশিয়াঃ
গ্রান্ড ফাডার ফ্রস্ট । অথাৎসে দিন সান্টাক্লস লাল পোশাকের  পরিবর্তে নীল পোশাক পরে এবং  এ দিন শিশুদের মধ্যে খেলনা ও চকলেট বিতরণ করে।

উপরে