ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
ওজন কমাতে সহায়ক পুষ্টি উপাদানগুলো

জেনে নিন ওজন কমাতে সহায়ক পুষ্টি উপাদানগুলো

20fours Desk | আপডেট : ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ২২:২৩
জেনে নিন ওজন কমাতে সহায়ক পুষ্টি উপাদানগুলো
মেদ ভুঁড়ি কিংবা একটু বাড়তি ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষ সব সময়ই বেশ চিন্তিত থাকেন। কী করলে ওজন কমবে, কী না খেলে ওজন কমবে, কোন খাবার ওজন কমায়, ডায়েট করতে চাইলে কীভাবে করতে হবে এসব ভেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায়।ওজন কমাতে অনেকেই চান। তবে কিছু বিষয়ের কারণে পিছিয়ে পরেন কাঙ্ক্ষিত ফলাফল থেকে। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য আজকের লেখাতে রইলো কিছু পুষ্টি উপাদানগুলো যা আপনার ওজন কমাতে সহায়ক হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে সহায়ক পুষ্টি উপাদানগুলোঃ
 
(১) আরজিনিনঃ
গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ সপ্তাহ ধরে স্থুলতায় আক্রান্ত নারীদেরকে আরজিনিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে দেওয়ার ফলে তাদের কোমরের সাইজ কমেছে ৩ ইঞ্চি করে এবং ওজন কমেছে ৬.৫ পাউন্ড।
 
(২)  কোলিন
এটি চর্বি কমাতে সহায়ক বি ভিটামিন। লিভারের চারপাশে চর্বি জমাতে সহায়ক জিন প্রতিরোধ করে এটি। সুতরাং কোলিন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনই খান।
 
(৩) ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম
এই খনিজ উপাদানটি চর্বি পোড়াতে সহায়ক। উচ্চহারে ম্যাগনেশিয়াম আছে এমন খাবার খেলে দেহে গ্লুকোজ এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।পটাশিয়ামও আপনার পেটের মেদভুড়ি কমাতে সহায়ক। এছাড়া ব্যায়ামের পর মাংসপেশির ক্ষয়রোধেও কার্যকর এটি। এছাড়া দেহ থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দিয়ে ফাঁপাভাবও কমায়।
 
(৪) ভিটামিন ডি ও ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এই ভিটামিন। এটি আপনার ওজন কমানোর ডায়েটে অবশ্যই থাকা উচিত। আর এটি বিশেষকরে পেটের চর্বি কমাতে বেশ কার্যকর।পেটে চর্বি জমাতে সহায়ক কর্টিসোল এর উচ্চ মাত্রার ফলে স্ট্রেস তৈরি হয়। আর ভিটামিন সি এমন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্ট্রেস মোকাবিলায় এবং ফলত ওজন কমাতে সহায়ক।ভিটামিন বি ১২ শক্তির দুটি উৎস হজমে সহায়ক- চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটস।
 
(৫) ট্রিপটোফ্যান
ঘুম ভালো হলে ওজন কমে। এটি আমাদের দেহকে শক্তি পুনরুদ্ধারে এবং মাংসপেশি গড়ে তুলতে সহায়তা করে। কিন্তু আপনি যদি যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমাতে না পারেন তাহলে অ্যামাইনো এসিড- ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেটি সেরোটোনিন এর অগ্রদূত এবং মেলেটোনিনে রুপান্তরিত হয়; যা ভালো ঘুমের সহায়ক। ওজন কমাতে সহায়ক সেরা একটি পুষ্টি উপাদান এটি।
 
(৬) জিঙ্ক
যাদের দেহে ইনসুলিনের মাত্রা কম তাদের যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন নিঃসরণ হয় না। যার ফলে শক্তি কমে যেতে পারে এবং বেশি খাবার খাওয়ার আকাঙ্খা হতে পারে। সুতরাং জিঙ্ক খেলে দেহে ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা ঠিক থাকে।
 
(৭) সেলেনিয়াম
যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাদের দেহে সেলেনিয়ামের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া হজম প্রক্রিয়ায় ধীর গতি এবং স্থুলতায় আক্রান্ত হওয়ার সমস্যাও দেখা যায়। প্রতিদিন মাত্র ৮০ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম দেহে প্রবেশ করলে অ্যান্টি-থাইরয়েড অ্যান্টিবডি কমে আসে।
 
(৮) মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট
পেটে মেদ জমতে দেয় না এই পুষ্টি উপাদানটি। ওলেইক এসিড সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডোর অর্ধেকটা খাওয়ার কয়েকঘন্টা পরও খাবার খাওয়ার আকাঙ্খা ৪০% কম থাকে।
এছাড়াও জমে থাকা চর্বি কমায়। যাদের দেহে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড বেশি থাকে তারা দুই বছর বেশি বাঁচেন বলেও গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

উপরে