ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
বিভিন্ন ধরণের বাদাম

বিভিন্ন ধরণের বাদামের গুণাগুণ

20Fours Desk | আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২১:৩৭
বিভিন্ন ধরণের বাদামের গুণাগুণ

বাদাম একটি সাধারণ শব্দ যা কোন উদ্ভিদের বড়, শুষ্ক এবং তৈলাক্ত বীজ অথবা ফলকে বোঝায়। যদিও অনেক উদ্ভিদের বীজ এবং ফলকে বাদাম হিসেবে ডাকা হয়, কিন্তু জীববিজ্ঞানীগণ এদের মধ্যে অল্প কিছু বীজ বা ফলকেই সত্যিকারের বাদাম হিসেবে বিবেচনা করেন। বাদাম বন্ধুদের আড্ডায় পরিচিত ঠিক সেমাই কিংবা আরো অনেক ভাবে বাদাম খাওয়া হয়ে থাকে। তবে  বাদামের  যে বহুমাত্রিক গুণাগুণ রয়েছে তা আমাদের অনেকেই হয়তো জানি না। আবার বাদামের প্রকারভেদে গুণাগুণও ভিন্ন ভিন্ন হয়। আর তাই আজকের লেখাতে থাকছে আপনাদে জন্য বিভিন্ন প্রজাতির বাদামের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন প্রজাতির বাদামের গুণাগুণ গুলোঃ

(১) পেস্তাবাদাম : এই ধরনের বাদামে থাকে ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার,ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন। এই পেস্তাবাদাম  রক্ত শুদ্ধ করে সেই সাথে লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।

(২) কাজুবাদাম : এর উপাদানগুলো হচ্ছে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-এ। কাজুবাদাম  অ্যানিমিয়া ভালো করে। এবং এই বাদাম ত্বক উজ্জ্বল করে সেই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

(৩)  চিনাবাদাম : এই প্রজাতির বাদামে প্রোটিন, ফাইবার,ক্যালসিয়াম,আয়রন, সোডিয়াম,পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ,বি, সি রয়েছে। ফলে এর উপকারিতা  অনেক। এবং এটি প্রোটিনের ভালো উৎস। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।  নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে চিনাবাদাম বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে। সেই সাথে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

(৪)  আলমন্ড : এর উপাদানের মধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই। তাই বাদামের রাজা বলা হয় আলমন্ডকে। শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব ভালো। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।

উপরে