ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
এক গ্লাস করল্লার জুস

প্রতিদিন এক গ্লাস করল্লার জুসের উপকারীতা জানেন?

20fours Desk | আপডেট : ১২ অক্টোবর, ২০১৮ ১০:০৫
প্রতিদিন এক গ্লাস করল্লার জুসের উপকারীতা জানেন?

করল্লা আমাদের সকলের পরিচিত একটি সবজি। যদিও এর তিতা স্বাদের জন্য হয়তো অনেকেই এটি খুব একটা পছন্দ করেন না, তবুও এর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে। তবে করল্লা রান্না করে খাওয়ার চেয়ে এর কাঁচা রস আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। শ্রীলংকা ক্রিকেট টিমের সাবেক অধিনায়ক সনাথ জয়াসুরিয়াকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল আপানার ভালো খেলার রহস্য কি? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আমি প্রতিদিন সকালে আধা লিটার করল্লার জুস খাই । আর তাই আমি মাঠে ভালো পারর্ফমেন্স করি। তাহলে বুঝুন করল্লার জুস আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন সকালে করল্লার জুস পান করলে আমাদের কী কী উপকারীতা হতে পারে।

উপকারীতাঃ

১। আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে করলার রস হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী সমাধান।প্রতিদিন সকালে করল্লার জুস পান করলে আমাদের লিভার ফাংশন বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।আর খাবার ঠিক্মত হজম হলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমার কোনো চান্স থাকে না। ফলে ওজন তো বাড়েই না, বরং খুব দ্রুত কমতে শুরু করে।একই সাথে এটি খেলে আমাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক কমে যায়। ফলে বিভিন্ন হার্টডিজিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একদমই থাকে না।

২। রক্তে মিশে থাকা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে করলার উপকারীতার কতাহ আমরা সবাই জানি। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে যদি প্রতিদিন কাঁচা করল্লার জুস পান করা হয়। এতে থাকা কয়ারেটিন নামের একটি উপাদান ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে থাকে। একই সাথে আপনি যদি পাইলসের মত কষ্টকর অসুখে ভুগে থাকেন তাহলে করল্লার জুস কিন্তু ভীষণ উপকারী। প্রতিদিন সকালে মাত্র এক কজাপ করল্লার জুস খেলে এক মাসের মধ্যেই পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।

৩। সুন্দর এবং মসৃণ ত্বক পেতে হলে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান হলো করল্লার জুস। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমদের ত্বকের গভীরে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে একদমই সময় লাগে না। এছাড়াও এতে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন।যা আমাদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একই সাথে আমাদের চোখকে নানারকম রোগ থেকে দূরে রাখে।

৪। করল্লা তিতা স্বাদযুক্ত একটি সবজি। তাই প্রতিদিন করল্লার জুস খেলে এটি আমাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই মস্তিষ্ক ও স্নায়ুবিক যেকোনো রোগে করল্লার জুস খুবই কার্যকর। করল্লার জুস রেচন, সঙ্কোচক, পিচ্ছিলকারক, পরজীবীনাশক, মাংসপেশির সঙ্কোচক প্রতিরোধক এবং স্নায়ুবিক দুর্বলতা প্রতিরোধী গুণসম্পন্ন। এতে থাকা ব্লাড পিউরিফাইং এজেন্ট আমাদের রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।আর আমাদের সুস্থ্যতা নির্ভর করে আমাদের রক্ত কতটা বিশুদ্ধ তার উপর।

৫। প্রতিদিন সকাল বেলা করল্লার জুস পান করলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে নানারকম ছোট-বড় রোগের আশংকা হ্রাস পায়।একই সাথে ইনফেকশনজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের কনস্টিপেশনের মতো অস্বস্তিকর সমস্যা একদম কমিয়ে ফেলে। একই সাথে ফাইবার আমাদের শরীরে প্রবেশ করা মাত্র গ্যাস্ট্রিক জুসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। আর এর ফলে আমাদের একাধিক পেটের রোগ ভালো হয়ে যায়।

৬। প্রতিদিন সকালে করল্লার জুস পান করলে আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এর ফলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার রোগের কোষ জন্ম নিতে পারে না। ফলে ক্যান্সারের মত মরণঘাটি রোগ থেকে রেহাই মেলে। একইসাথে অ্যানিমিয়া এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা কমাতে করল্লার জুস দারূন উপকারী।

উপরে