ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
ঘামাচি! কারণ ও প্রতিকার।

গরমে শিশুর ঘামাচি! জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার।

20Fours Desk | আপডেট : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০৯:১৩
গরমে শিশুর ঘামাচি! জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার।

যদিও এখন চলছে বর্ষাকাল । তারপরে সূর্যের তাপ যেন কমছেই না। তাপমাত্রা তো প্রতিদিনই ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে। আর এই গরমের ফলে সবার কষ্ট যেন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ । সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশুদের । অতিরিক্ত গরমের ফলে শিশুদের যেসব সমস্যা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ঘামাচি । ঘামাচির যন্ত্রনায় এই গরমে শিশুরা অস্থির হয়ে ওঠে। বৃষ্টি হলে ঘামাচির প্রকোপ একটু কমে আসে, কিন্তু বৃষ্টির পরে যে ভ্যাপসা গরম হয় এতে ঘামাচি আরো বেড়ে যায়। আবার জ্বর-সর্দির কারণে নিয়মিত গোসল না করালেও ঘামাচি হয়ে থাকে । আসুন জেনে নিই এই ঘামাচি রোগের কারণ এবং কিভাবে ঘামাচি রোগ থেকে আপনার শিশুকে রক্ষা করবেন তা সম্পর্কে।

কারণঃ

ঘামাচি মূলত ঘাম গ্রন্থির একটি রোগ। চিকিৎসা বিঙ্গানের ভাষায় একে মিলিয়ারিয়া বলা হয়ে থাকে। গরম কাল আমাদের প্রচুর ঘাম হয়ে থাকে। এত বেশি ঘাম বের হতে থাকে যে, ঘামগ্রন্থি নালীকে ফুট করে ঘাম ত্বকের নিচে এসে জমা হয়। ত্বকের নিচে জমে থাকা এই ঘামই ছোট ছোট দানার মত পানিভর্তি ফুসকুড়িতে ফুলে উঠে। এটাই হলো ঘামাচি । ঘামাচি হলে ওই স্থানটি চুলকায় এবং সামান্য জ্বালাপোড়াও করে। কিছু কিছু ঘামাচি হলে ত্বক লালচে ভাব ধারন করে এবং চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। একে মিলিয়ারিয়া প্রফান্ডা বলা হয়ে থাকে। সাধারণত বুক, পিঠ, ঘাড়, হাতে ঘামাচি হয়ে থাকে।

প্রতিকারঃ

ঘামাচি থেকে মুক্ত থাকতে হলে আর্থিক সচ্ছলতার একটা সম্পর্ক আছে । কারণ সব এয়ারকুলারের মধ্যে থাকলে ঘামাচি হয় না। পক্ষান্তরে বদ্ধ এবং গরম ঘরে থাকলে ঘামাচি হয়ে থাকে। ঘামাচি থেকে নিস্তার পেতে আমাদের যা যা করতে হবে,

১। সবসময় চেষ্টা করতে হবে ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকার।

২। ঘর বদ্ধ না রেখে খোলামেলা রাখতে হবে।

৩। একটি ফ্যান সার্বক্ষণিক মাথার উপরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। নিয়মিত গোসল করতে হবে এবং পরিষ্কার থাকতে হবে।

৫। বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে।

৬। গরম বেশি হলে দিনে দুবার গোসল করতে হবে।

৭। আঁটসাঁট এবং সিনথেটিক কাপড় না পড়ে হালকা রঙের সুতি পোশাক পরতে হবে।

৮। রঙ এবং গন্ধহীন সাবান বা অতিরিক্ত কেমিক্যাল মুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।

৯। ঘামে ভেজা কাপড় বা অন্তবাস বেশিক্ষণ পড়ে থাকা যাবে না।

১০। লোশন, ক্রিম, পাউডার বা তেল ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।

উপরে