ভোজন রসিক বাঙালির খাবারের কোন শেষ নেই। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় মুখের রুচিরও। বৃষ্টির দিন ঘরে বন্দী থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে বিশেষ কিছু খাবার খেতে কে না চায়।কিন্তু বর্ষাকাল মানেই সংক্রমণের সম্ভবনা বেড়ে যায় প্রায় চারগুণ। জমা পানি , মশার কামড় থেকে যেমন ছড়ায় ম্যালেরিয়া ডেঙ্গুর মতো জীবানু, তেমনই বাইরের খাবার অপরিশোধিত পানি থেকে পেট খারাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তাই চিকিৎসকেরা এই সময়টাতেই খাবারের ব্যাপারে বেশি সতর্ক হতে বলছেন। বর্ষায় সুস্থ থাকতে কিছু খাবার আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে আর আজকের লেখায় থাকছে সেই সকল খাবারের কথা ।
চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এই বর্ষায় যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবেঃ
১। শাক : এই সময়টা শাক এড়িয়ে চলার কথা বলা হয় সবসময়। কারণ, বর্ষায় পোকামাকড় বাড়ে, আর খুব ভালোভাবে তা পরিষ্কার করা থাকে না। এছাড়াও নোংরা পানি লেগে থাকতে পারে। তাই বর্ষার সময়ে শাক কম খান। কারণ এর ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
২। সামুদ্রিক মাছ : বর্ষায় চিংড়ি, পমফ্রেট ইত্যাদি মাছ ভালোই পাওয়া যায়। কিন্তু এই বর্ষা মাছেদের প্রজননের জন্য আদর্শ। তাই এই সময় উন্নত মানের মাছ পাওয়া যায় না। যেগুলো পাওয়া যায় তা খেলে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ফিশ তন্দুরির দিকে মন থাকলেও চোখ ফিরিয়ে নিন।
৩। কোল্ড ড্রিংক : বর্ষার সময় কোল্ড ড্রিংক এড়িয়ে চলুন। এই কোল্ড ড্রিংক আমাদের শরীরে খনিজের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে এনজাইমগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এতে মারাত্মক হজমের সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী পেটে ইনফেকশনও হতে পারে।
৪। ভাজা খাবার : ডিপ ফ্রায়েড খাবার এমনিতেই এড়িয়ে চলা ভালো। আর বর্ষার সময় তা একেবারেই দূরে রাখুন। চপ, পেঁয়াজু, পকোড়া একেবারেই খাবেন না। মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে হলে বাড়িতে বানানো আলুভাজা খেতে পারেন। বৃষ্টি মানেই ঘরে জমিয়ে বসে পকোড়া আর চা খাওয়া। কিন্তু এই খাবার পাকস্থলির উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। হজমের সমস্যা হয়।
এছাড়াও এই সময় আগে থেকে কেটে রাখা ফল খাবেন না। কাটা ফল বাইরে থাকলেই বাতাসের সংস্পর্শে তার উপর নোংরা ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তা চোখে দেখা যায় না। না জেনেই আমরা খেয়ে ফেলি। তরমুজ, বেদানায় এই সমস্যা বেশি হয়।