শহরের ব্যস্ততম জীবনকে প্রকৃতির ছোয়া দিয়ে ভ্রমণের ব্যাতিক্রম অন্য কিছু হতে পারে না। তাইতো এবারের ইদের ছুটি কে কাজে লাগাতে পরিবার প্রিয়জন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দক্ষিণডিহি।
খুলনা শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ফুলতলা উপজেলা। উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গেলে দক্ষিণডিহি গ্রাম। গ্রামের ঠিক মধ্য খানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য একটি দোতলা ভবন। এটাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুর বাড়ি। দক্ষিণডিহির এই বাড়িটি সংস্কৃতিসেবীদের কাছে ‘দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স’ নামে স্বীকৃতি পেয়েছে।
রবীন্দ্র কমপ্লেক্সে পৌঁছালেই প্রথমে দেখা যানে মনোরম এক দোতলাবাড়ি। কমপ্লেক্স প্রবেশের আগে টিকেট কাটতে হবে। কমপ্লেক্স প্রবেশ করে প্রথমেই দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মৃণালিনী ঠাকুরের ভাস্কর্য। দোতলা বাড়িজুড়েই আছে রবি ঠাকুরের বিভিন্ন সময়ে ধারণকৃত ছবি এবং কবির সাহিত্যকর্মের হাতে লেখা অনুলিপি যেমনঃ কবি গুরুর ১২ বছর বয়সের ছবি,তার হাতে লেখা গীতাঞ্জলি, কবির আঁকা ছবি সহ ইত্যাদি। বাড়ির সিঁড়ির কারুকার্য ছিল মনোমুগ্ধকর। রয়েছে ছোট একটা লাইব্রেরি। তবে এই রবীন্দ্র কমপ্লেক্স ভ্রমণের আদর্শ সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম অথবা মৃত্যুদিন। তখন কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বিশাল আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে কবিভক্তের সমাগম হয় এই সময়। আর একটা মজার বিষয় মৃণালিনী দেবীর প্রকৃত নাম কিন্তু মৃণালিনী দেবী ছিল না। তাঁর নাম ছিল ভবতারিণী দেবী ওরফে পদ্ম ওরফে ফুলি ওরফে ফেলি। ভবতারিণীর বয়স যখন ১১ বছর তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঠাকুর পরিবারে রীতি অনুযায়ী নাম রাখা হয় মৃণালিনী দেবী।
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে আকাশ, রেল কিংবা সড়ক পথে যেতে পারেন খুলনা। উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গেলে দক্ষিণডিহি গ্রাম।
এছাড়া রবীন্দ্র কমপ্লেক্সের একেবারেই কাছে রয়েছে বিখ্যাত বেজেরডাঙ্গা মুসলিম হোটেল। এখানকার চুই ঝাল দিয়ে গরুর মাংস এবং খাশির মাংস অত্যন্ত বিখ্যাত।