ভিজিয়ে রাখা ছোলার সঙ্গে মধু খেলে কী হয় জেনে নিন? | 20fours
logo
আপডেট : ১১ মার্চ, ২০১৯ ১০:২৭
ভিজিয়ে রাখা ছোলার সঙ্গে মধু
ভিজিয়ে রাখা ছোলার সঙ্গে মধু খেলে কী হয় জেনে নিন?
20Fours Desk

ভিজিয়ে রাখা ছোলার সঙ্গে মধু খেলে কী হয় জেনে নিন?

ছোলা সবার কাছে অনেক পরিচিত। কারন ছোলায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তাই কমবেশি সব বাসাতেই ছোলা খাওয়া হয়ে থাকে। ছোলায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে  আয়রন, সোডিয়াম এবং সেলেনিয়াম। তাই নিয়মিত ছোলা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে সারারাত একমুঠো ছোলা ভিজিয়ে রেখে মধুর সাথে খেলে অনেক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জেনে নিন তাহলে ভিজিয়ে রাখা ছোলার সঙ্গে মধু খেলে কী হয়ঃ

১। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়ঃ

যাদের ব্রণ, পিম্পল, ডার্মাটাইটিস সহ একাধিক ত্বকের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য  ছোলার কোনও বিকল্প হয় না। তাই প্রতিদিন ছোলা খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায়, তেমনি ছোলা গুঁড়ো করে বানানো বেসন, দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে দারুন উপকার মেলে। বেসন এবং দুধ বা দই মিলিয়ে বানানো পেস্ট স্কাল্পে লাগালে চুল পড়াও অনেক কমে যায়। তাই যাদের খুব চুল উঠছে, তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতেই পারেন।

২। হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটেঃ

অনেকেই আছেন কিছু খেলেই বদ-হজম হয়ে থাকে? তাহলে তো ছোলাকে আপনার সঙ্গী বানানো উচিত। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শুধু হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় না, সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া এবং কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপও কমায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দিয়ে ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

৩। ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ

 গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ছোলা খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। আর এই খনিজটির পরিমাণ যত বাড়ে, তত সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে ধীরে ধীরে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যারা অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভোগেন, তাদেরকে চিকিৎসকরা নিয়মিত এক বাটি করে ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।

৪। এনার্জির ঘাটতি দূর করেঃ

ছোলায় উপস্থিত থাকা পটাশিয়াম ক্লান্তি দূর করে শরীরকে সতেজ করে তোলে। সেই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই উপাদানটির মধ্যে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা কোষেদের শক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫। অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায়ঃ

শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে সাধারণত অ্যানিমিয়ার মতো রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে ছোলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। তাই এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরের অন্দরে লহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়াতে দারুন কাজে আসে। আর একবার লহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমতে শুরু করে।

৬। ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ

প্রতিদিন এক মুঠো করে ছোলা খেলে শরীরের অন্দরে শর্করার শোষণ ঠিক মতো হতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, ছোলার মধ্যে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান শরীরকে ভিতর থেকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে হঠাৎ করে ব্লাড সুগার লেভেল কমে গেলেও শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পরে।