বর্তমান সময়ে পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র বা পানির ফিল্টার খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি জিনিস। প্রায় প্রতিটি বাসাবাড়িতে এটি থাকে। আসলে পানি আমাদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। আর তাই পানিকে জীবনের অপর নাম বলা হয়েছে। আর এই পানিকে তো যেমন তেমন ভাবে ব্যবহার করা যায় না। বিশেষ করে খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবসময় বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে। আর এখন পানিতে যে পরিমাণ ময়লা তাই ফিল্টার ছাড়া পানি বিশুদ্ধ ভাবে খাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আর এক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বেশি উপকার করে থাকে ফিল্টার। কিন্তু এই ফিল্টারেরও যত্নের প্রয়োজন। নাহলে এটি আমাদের বিশুদ্ধ পানির দেয়ার বদলে দূষিত পানি সরবাহ করবে। তাহলে আসু আজ জেনে কিভাবে আমরা আমাদের ফিল্টারের যত্ন করবো তা সম্পর্কে।
যেভাবে পানির ফিল্টারের যত্ন করা উচিতঃ
১। ফিল্টারে কখনোই একসাথে বেশি পরিমাণ পানি দেওয়া উচিতা না। ঠিক যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই পানি দিতে হবে। অধিক পরিমাণ পানি দেওয়া হলে ফিল্টার ভালোভাবে পানি বিশুদ্ধ করতে পারবে না। একই সাথে অধিক পানি দেওয়ার ফলে পানিতে দুর্গন্ধও হতে পারে। তাই প্রতিদিন আপনার যতটুকু পানির প্রয়োজন হয়, ঠিক ততটুকু পানিই বিশুদ্ধ করা উচিত।
২। ফিল্টারে পানি জমিয়ে রাখা উচিত না। যদি কোনো কারণে ফিল্টারে পানি জমে থাকে তাহলে পানিতে শেওলা পড়তে পারে। এর ফলে পানিতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাবে এবং পানিতে দূর্গন্ধ হবে। তাই ফিল্টারে পানি জমিয়ে রাখবেন না এবং সপ্তাহে অন্তত একদিন এটি পরিষ্কার করতে হবে।
৩। সপ্তাহে একদিন ফিল্টারের ভেতরের সিরামিক পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত নেট ব্যাগ দিয়ে এটি পরিষ্কার করা উচিত। ফিল্টারের ভেতরটা কখনোই সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া বা পরিষ্কার করা যাবে না। এক্ষেত্রে লিকুইড সোপ পানিতে গুলিয়ে নেট দিয়ে হালকা করে ভেতরটা পরিষ্কার করতে হবে এবং এরপর বেশি বেশি করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে ফিল্টারের বাইরের অংশ সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া যাবে।
৪। ফিল্টারে কখনোই গরম পানি ঢালা যাবে না। ইলেকট্রনিক ফিল্টার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত ফিল্টারের কার্টিজ পরিবর্তন করতে হবে। অনেক সময় ফিল্টারের পানি দিয়ে ময়লা আসে। আসলে এর কারণ হলো কার্টিজ। তাই নিয়মিত ফিল্টারের কার্টিজ চেক করতে হবে এবং ছয় মাস পর পর এই কার্টিজ চেঞ্জ করতে হবে।
৫। ফিল্টারের মাইক্রো ফাইবার ম্যাশ বা ছাঁকনি পরিষ্কার করা খুবই জরুরী। সপ্তাহে অন্তত একদিন এটি পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও কার্টিজের মতই এটিও ছয় মাস পর পর বদলিয়ে ফেলতে হবে। ইলেকট্রনিক ফিল্টার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
পানি বিশুদ্ধ করণ ফিল্টার কেনার সময় বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হয় যেন এটি পানিতে মিশে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, বিষাক্ত কেমিক্যাল, ভারী ধাতু, মরিচা, সিসাসহ অন্যান্য দূষিত পদার্থ সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত করতে পারে এবং আমাদের সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ পানি সরবাহ করতে পারে।