মিস্টিকুমড়োতে যে পরিমান ভিটামিন আছে তা অনেকের অজানা। মিস্টিকুমড়োর তরকারি আবার কেউ পছন্দ করে না, অনেকে বলে কুমড়ো একটু বেশিই নরম। যদিও কুমড়ো ফুলের বড়া কেউ আজ অবধি অবজ্ঞা করতে পেরেছেন কিনা জানা নেই। তবে কুমড়ো না খাওয়ার কারণ যাই হোক না কেন, যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে কুমড়ো খাওয়া উচিত।
জেনে নিন মিস্টিকুমড়োর কত গুণাগুণঃ
১। ওজন কমায়ঃ
মিস্টিকুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে খুব ধীরে ধীরে সম্পন্ন করে। ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে যায় আর ক্ষিদে কম পেলে খাবারও কম খাওয়া হয়। ফলে অল্প দিনেই ওজন কমতে শুরু করে। কুমড়োতে কম পরিমাণে রয়েছে ক্যালরি। ফলে এই সবজিটি খেলে ওজন বাড়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না।
২। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ
কুমড়োর মধ্যে বিটা ক্যারোটিন থাকে। আর কুমড়ো খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করার পর সেই বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ-তে পরিবর্তিত হয়ে যায়। ভিটামিন “এ” চোখের জন্য খুবই উপকারি। এছাড়াও কুমড়োর মধ্যে লুটেইন এবং জিক্সান্থিন নামক দুটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও উপস্থিত রয়েছে, যা ছানির সমস্যাকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মিস্টিকুমড়ো। কুমড়োতে ভিটামিন-এ উপস্থিত রয়েছে, যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ ঘটিত রোগ এবং জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও বাজারে এখন চলে এসেছে কুমড়ো থেকে তৈরি বিশেষ তেল, যা জীবাণু ঘটিত সংক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করে। কুমড়োর মধ্যে ভিটামিন সি থাকে। যার ফলে ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি লাগার হাত থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব হয় এই সবজিটি খেলে।
৪। ত্বকের জন্য উপকারিঃ
মিস্টিকুমড়ো ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। কুমড়োর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে। এই বিটা ক্যারোটিন ত্বককে সূর্য রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। কারণ রোদে বেরলে অনেকেরই ত্বকে পোড়া দাগের সৃষ্টি হয়। ত্বককে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় কুমড়ো। এছাড়াও কুমড়ো দিয়ে বানানো ফেসপ্যাক দারুন উপকারে আসে।
৫। ক্যান্সারের প্রবণতা কমায়ঃ
কুমড়ো ক্যান্সার রোগকে দূর রাখতে সাহায্য করে। কুমড়ো খেলে বিশেষ ধরণের কয়েকটি ক্যান্সার খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। যেমন- প্রোস্টেট এবং ফুসফুসের ক্যান্সার। এছাড়াও কুমড়োর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি উপস্থিত থাকায়, এই সবজিটি কোষেদের ক্ষত সারাতে সহয়তা করে।
৬। ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমায়ঃ
কুমড়ো রক্তে শর্করার মাত্রা যাতে বৃদ্ধি না পায় সে সাহায্য করে।সেই সঙ্গে ইনসুলিন উৎপাদনও বাড়ায়। এই সবজিটি এমন রোগীদের শরীরে কোনও কুপ্রভাব ফেলে না।