সবজি বা সালাদ খেতে সবাই পছন্দ করেন। এমনকি আজকাল ওজন কমাতে বা নিজেকে ফিট রাখতে সালাদ খেয়ে থাকে। তবে আপনি কি জানেন বিট খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর। আপনি আপনার সালাদে বিট রাখতে পারেন, এছাড়াও বিট সবজি হিসেবে খেতে পারেন। বিট খাওয়া উপকারীতা গুলো আমরা অনেকেই জানিনা।
জেনে নিন তাহলে, বিট খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা গুলোঃ
১। ক্যান্সার দূরে রাখেঃ
বিট খাওয়া খুবই উপকারী। কারণ বিটে রয়েছে বিটাসায়ানিনস নামে একটি উপাদান, যা মানব দেহে ক্যান্সার সেলকে জন্ম নিতে দেয় না। সেই সঙ্গে ম্যালিগনেন্ট টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। তাই এটা প্রমাণিত যে, নিয়মিত বিট খেলে স্কিন, লাং এবং কোলোন ক্যান্সার দূরে থাকে।
২। হার্টকে সুস্থ রাখেঃ
বিটের ভিতরে থাকা ফাইবার, শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যেমন কমায়, তেমনি টাইগ্লিসারাইডকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, বিটে উপস্থিত বিটাইন নামক এক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান ধমনীর কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যাথেরোস্কেলেরোসিসের আশঙ্কাও কমায়।
৩। প্রেগনেন্সির সময় খাওয়া গুরুত্বপূর্ণঃ
ভিটামিন বি এবং ফলেটে পরিপূর্ণ এই সবজিটি যদি ভাবী মায়েরা প্রতিদিন খান, তাহলে বাচ্চার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে জন্মানোর আগে বা পরে নবজাতকের কোনও ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত , গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ফলেটের ঘাটতি দেখা দিলে বাচ্চার নানাবিধ নিউরাল প্রবলেম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো এই বিষয়টি নজরে রাখা একান্ত প্রয়োজন।
৪। লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ
বিট লিভারের জন্য খুবই কার্যকরী। বিটে বিটেইনস নামক একটি উপাদান থাকে, যা লিভারকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫। ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ
বিটে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একদিকে যেমন শরীর থেকে সব টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে নানা জটিল রোগকে দূরে রাখে, তেমনি ফুসফুসের শক্তি এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে বায়ু দূষণের মাঝে থেকেও লাং-এর কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সেই সঙ্গে অ্যাস্থেমার মতো রোগও দূরে পালায়।
৬। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ
আজকাল প্রায় সবারই চোখের সমস্যা দেখা যায়। তাই নিয়মিত বিট খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। কারণ এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৭। এনার্জির ঘাটতি দূর করেঃ
সারাদিন কাজ করার কারণে শরীরে ক্লান্ত ভাব দেখা যেতেই পারে। এমনকি এনার্জির ঘাটতি দেখা যায়। আর বিটে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা শরীরের এনার্জির ঘাটতি দূর করে।
৮। স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়ঃ
গবেষণায় দেখা গিয়েছে বীটে থাকা পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিকভাবেই সোডিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক লেবেলে চলে আসে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারি শিরা-ধমনীতে ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।