আমাদের বিভিন্ন অস্বস্তিকর সমস্যার মধ্যে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্যতম একটি সমস্যা। এটি খুবই সাধারণ একটি কিন্তু অনেক যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। বিশেষ করে এই শীতে এর প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। একটু ঠান্ডা লাগলেই আমাদের নাক বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত ভাইরাসজনিত কারণে নাক বন্ধ হতে পারে। এছাড়াও শুষ্ক আবহাওয়ায় ধুলাবালুর কারণে কিংবা অ্যালার্জির কারণেও নাক বন্ধ হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। আসুন তবে জেনে নিই কেন আমাদের নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং নাক বন্ধ হলে আমাদের কি করা উচিত।
কেন নাক বন্ধ হয়ঃ
বিভিন্ন কারণে আমাদের নাক বন্ধ হয়ে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়। আসলে আমাদের নাকের ভেতরে কিছু টিস্যু আছে যেগুলো কখনো ছোট হয়ে যায় আবার কখনো বড় হয়। এই টিস্যু গুলো নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের রাস্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো কারণে এই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের নাক বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও নাকের মাঝখানের যে অংশটি আছে সেটি সমস্যার কারণেও নাক বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য দেখা যায় যে, সর্দি হলে নাক বন্ধ হয়ে গেলে মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে হয়।
করণীয়ঃ
১। গরম পানিতে মেনথলের দুই-তিনটি দানা ছেড়ে দিয়ে সেই পানির ভাপ নিতে পারেন। এতে বন্ধ নাক দ্রুত খুলে যায় এবং কষ্ট কমে আসে। এছাড়া একটি কাপড়ের পুটলিতে কালোজিরা টেলে নিয়ে শুঁকতে পারেন। এর ঝাঁজে বন্ধ নাক খুলে যাবে।
২। অনেকেই নাক বন্ধ হলেই নেজ্যাল ড্রপ ব্যবহার করে থাকেন। যদিও এটি উপকারি তবুও নেজ্যাল ড্রপগুলো দীর্ঘদিন বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ একটানা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে একসময় সেটির কারণেই আবার নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
৩। নাক বন্ধ হলে অ্যান্টি হিস্টাসিন জাতীয় ওষুধ খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে তা অল্প মাত্রায় খেতে হবে। বেশি মাত্রায় খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
৪। যদি ছোট শিশুর নাক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে হালকা কুসুম গরম পানিতে খুব সামান্য লবণ মিশিয়ে সেই পানি দুই তিন ফোঁটা করে নাকে এই ড্রপ দিয়ে দিন। তারপর শিশুকে কাত করে কোলে নিয়ে নাকের সর্দি বের হতে দিন এবং টিস্যু বা পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৫। অনেকেই নাক বন্ধ হলে একটু পর পর নাকের ভেতর টিস্যু বা কটন বাড ঢুকিয়ে বার বার হাঁচি দিয়ে থাকেন। যা শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। নাক বন্ধ হলে কখনোই নাকের ভেতরে টিস্যু বা কটন বাড ঢোকাবেন না।