রান্নার সময় আমাদের অনেক সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারন রাঁধুনির দের ওপর নির্ভর করে বাড়ির সকলের সুস্হতা। তাই রান্নার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা অনেক প্রয়োজন। তাই রোগ - জীবানু প্রতিরোধে রান্নার সময় মেনে চলা খুবই প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক রোগ-জীবানু প্রতিরোধের উপায় :
১। রান্নার অনেক জিনিস পএে জীবানু লেগে থাকে। যেমন : ছুরি, কাটিং বোর্ড এগুলো একবার ব্যবহার করে না ধুয়ে দ্বিতীয় বার ব্যবহার করবেন না। না হলে জীবানু ছড়াতে পারে।
২। স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নার জন্য হাত পরিষ্কার রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন হাতে অনেক জীবাণু থাকতে পারে। এ ছাড়া কাঁচা মাছ, মাংস কিংবা এ ধরনের খাবার হাত দিয়ে ধরলেও আবার হাত ধুতে হবে। অন্যথায় আপনার হাতে জীবাণু থেকে যাবে, যা ডেকে আনতে পারে নানা রোগ।
৩। রান্নার সময় আমরা রাঁধুনিরা বার বার চামচ দিয়ে খাবারের স্বাদ টেস্ট করে থাকি। এতে আমরা যদি সর্তকতা অবলম্বন না করি তাহলে আপনার থেকে রোগ জীবানু খাবারে ছড়াতে পারে। তাই অন্য চামচ অবলম্বন করুন এতে করে আপনার খাবার সুরক্ষিত থাকবে।
৪। আমাদের চামচ দিয়ে স্বাদ টেস্ট করার মতোই আরেকটি বাজে অভ্যাস হলো খাবারে হাত দেওয়া বা আঙুল ডুবিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করা। আপনার যদি এমন অভ্যাস থাকে তাহলে তা বাদ দিন। আর একেবারেই বাদ দেওয়া সম্ভব না হলে প্রতিবার হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
৫। গরমের সময় রান্নার সময় অনেক গরম লাগে। এবং অনেক বের হতে শুরু করে। কিন্তু এ ঘাম সব সময় দূরে রাখতে হবে। কারন এই এক ফোঁটা ঘাম যদি তরকারিতে পড়ে তাহলে আপনি কি সেই খাবার খেতে চাইবেন? আপনার রান্নাঘর যদি অতিরিক্ত গরম হয় তাহলে তা ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা করুন। ঘাম মুছে ফেলার জন্য বাড়তি তোয়ালা রাখুন।
৬। ঠান্ডা লেগে আমরা হাঁচি কিংবা কাশি দিলে তার সঙ্গে সঙ্গে আপনার নাক-মুখ দিয়ে বহু জীবাণু বের হয়। আর রান্নার সময় তা যদি খাবারের সামনে হয়, তাহলে খাবার সেই জীবাণুতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে হাঁচি হওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে দ্রুত খাবারের সামনে থেকে সরে যেতে হবে। এ ছাড়া টিসু পেপার ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের পর যথাসম্ভব দ্রুত তা ফেলে দিতে হবে।