জেনে নিন তিসির স্বাস্থ্য উপকারীতা | 20fours
logo
আপডেট : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০৭:২৪
তিসি
জেনে নিন তিসির স্বাস্থ্য উপকারীতা
20fours Desk

জেনে নিন তিসির স্বাস্থ্য উপকারীতা

তিসি বীজ। যার ইংরেজি নাম ফ্লেক্স সিড। আমরা যাকে তিসি হিসেবেই চিনে থাকি। তিসি বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি খাবার। তিসি বীজ ফাইবার, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের প্রধান উৎস। আমাদের দেশে বাদামি ও হলুদ রঙের তিসি বীজ বেশি পাওয়া যায়। তিসি হচ্ছে আঁশসমৃদ্ধ, প্রোটিন, ক্যলসিয়াম,এন্টি অক্সিডেন্টস, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং মিনারেলের একটি অসাধারণ সমন্বয়। এতে ভিটামিন বি কপ্লেক্স, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। তিসি আমাদের শরীরে এন্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে দেহকে শক্তিশালী রাখে এবং সহজে ক্লান্ত হতে দেয় না।এতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খুব কমই রয়েছে। অনেকেই তিসি খেয়ে থাকেন নানা ভাবে। আবার অনেকের তেমন পছন্দ নয়। কিন্তু এর পুষ্টিগুণের তালিকা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা উপকারী। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক তিসি বীজের কিছু স্বাস্থ্যকথা।

চলুন জেনে নেওয়া যাক তিসির স্বাস্থ্য উপকারীতাঃ

(১) হৃদরোগ প্রতিরোধে
তিসিতে আছে অ্যামাইনো আর ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড। এটা উচ্চ রক্তচাপ থেকে সুরক্ষা দেবে। নিয়মিত তিসি খাওয়ার অভ্যাস আর্টারির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে।

(২) ডায়াবেটিস ও প্রদাহ
এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকায় শরীরের নানা রকম প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া নিয়মিত তিসি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

(৩) ক্যান্সার প্রতিরোধে
তিসিতে আছে সাইটোকেমিক্যাল, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর ক্যান্সার চিকিৎসায় এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দারুণ কার্যকরী।

(৪) যারা হাই ব্লাডপ্রেসারের রোগী তারা তাদের খাদ্য তালিকায় তিসি রাখতে পারেন। প্রতিদিন ২চামচ তিসির পাউডার এর জন্য যথেষ্ট। এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও এমাইনো এসিড বিপি কমাতে সহায়তা করে।
 
(৫)  যারা তামাক বা অন্য নেশায় আক্রান্ত থাকে তাদের জন্য তিসি খুবই উপকারী।এটি নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে মুক্তি দিতে হবে। প্রতিদিন খাওয়ার পর অল্প পরিমাণ তিসি চাবালে দ্রুত নেশা থেকে মুক্তি পেতে পারেন একজন রোগী।

এছড়াও তিসির ফ্যাটি এসিড ক্যারোটিন হতে দেহে ভিটামিন 'এ' তৈরিতে সাহায্য করে। এতে করে দেহের ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ হয়। শিশুদের ছোটবেলা হতে তিসি খাওয়ার অভ্যাস করলে ভিটামিন এ ঘাটতি জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাবে।