কিবোর্ড ইংরেজি শব্দ key board থেকে এসেছে, যা এখন প্রায় বাংলা একটি শব্দ। বাংলা করলে দাঁড়াবে চাবির পাটাতন। কতগুলো কি একত্রে একটি ধারকের মধ্যে থাকায় এইরূপ নামকরণ। কম্পিউটারের কিবোর্ড এর কারণে বর্তমানে অনেকেই এর সম্পর্কে জানেন। কম্পিউটারের কিবোর্ড হল একটি টাইপরাইটার যন্ত্র বিশেষ যার মধ্যে কতগুলো বাটন বা চাবির সন্নিবেশ থাকে এবং এগুলো ইলেক্ট্রনিক সুইচ এর কাজ করে। সাধারণ কিবোর্ডেকে বলা হয় QWERTY. কিবোর্ডের ধরণ ৫ রকমের হয়। যেমনঃ ফাংশন কি, আলফা নিউমেরিক কি, নিউমেরিক কি, মডিফায়ার কি ও কার্সর মুভমেন্ট কি।তবে আজকে আমরা জানবো কিবোর্ডের উইন্ডোজ বাটনটির ব্যবহার সম্বন্ধে ।কিবোর্ডে উইন্ডোজ কি কোনোদিনই ব্যবহার করেননি এমন মানুষও রয়েছেন। এ কারণে এই কি-টি অনেকেই রাখতে চান না। যদিও আপনি ব্যবহার করেন কিংবা না করেন, এ কি-টির বহু কাজ রয়েছে। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে এ বাটনটির মাধ্যমে বহু কঠিন কাজ সহজ হয়ে যেতে পারে।
চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কিবোর্ডের উইন্ডোজ বাটনটির ব্যবহারঃ
⊞ Win — স্টার্ট মেনু ওপেন করা। উইন্ডোজ ৮.১-এ আগের উইন্ডো খোলা।
⊞ Win + A — অ্যাকশন সেন্টার খোলা (উইন্ডোজ ১০)
⊞ Win + B — নোটিফিকেশন এরিয়ার প্রথম আইকন সিলেক্ট। এরপর অ্যারো কি দিয়ে বিভিন্ন আইকনে যাওয়া যাবে।
⊞ Win + Ctrl + B — নোটিফিকেশন এরিয়ায় নতুন আসা কোনো প্রোগ্রামের মেসেজে যাওয়া।
⊞ Win + C – চার্ম বার শো করা (৮ ও ৮.১)। কর্টানা শো করা (উইন্ডোজ ১০)।
⊞ Win + D — ডেস্কটপ শো করা।
⊞ Win + E — উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার ওপেন করা।
⊞ Win + F — ফাইন্ড ফাইল অ্যান্ড ফোল্ডার।
⊞ Win + Ctrl + F — ফাইন্ড কম্পিউটারস ওপেন করা।
⊞ Win + G — গেম বার ওপেন করা।
⊞ Win + K — নতুন স্টার্ট মেনু ওপেন করা (উইন্ডোজ ৯ ও ৮.১)
⊞ Win + L — ব্যবহারকারী পরিবর্তন ও ওয়ার্কস্টেশন পাল্টানো।
⊞ Win + M — সব প্রোগ্রাম মিনিমাইজ করা।
⊞ Win + ⇧ Shift + M — মিনিমাইজ করা উইন্ডোজ রিস্টোর করা।
⊞ Win + O — ডিভাইসের ওরিয়েন্টেশন লক করা (ট্যাবের জাইরোস্কোপ বন্ধ করা)
⊞ Win + P — এক্সটার্নাল মনিটর ও প্রজেক্টরে দৃশ্য দেওয়া।
⊞ Win + Q — ইনস্টলকৃত অ্যাপে সার্চ চার্ম ওপেন করা।
⊞ Win + R — রান ডায়ালগ বক্স ওপেন করা।
⊞ Win + T — টাস্কবারের ফোকাস পাল্টানো
⊞ Win + U — ইউটিলিটি ম্যানেজার ওপেন করা।
⊞ Win + W — উইন্ডোজ ইনক ওয়ার্কস্পেস ওপেন করা।
⊞ Win + X — উইন্ডোজ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার ওপেন করা।
⊞ Win + Y — ইয়াহু মেসেঞ্জার ওপেন করা (যদি ইনস্টল করা থাকে)।
তাহলে জেনে গেলেন তো এই উইন্ডোজ কি এর ব্যবহার। তাই আপনি চাইলে সহজেই এই উইন্ডোজ কী ব্যবহার করতে পারেন আপনার কাজের সুবিধার্থে ।