ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
বায়তুল মোকাররম

বায়তুল মোকাররম মসজিদ

| আপডেট : ৯ নভেম্বর, ২০১৭ ১২:০৩
বায়তুল মোকাররম মসজিদ

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদটি উদ্বোধন করা হয় ১৯৬৩ সালের ২৫ জানুয়ারি। ওইদিন শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে এই মসজিদে শুরু হয় নামাজ আদায়। একই বছর (১৯৬৩ সাল) এই মসজিদে তারাবিহ নামাজ শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রথম খতিব ছিলেন মাওলানা আব্দুর রহমান বেখুদ (রহ:) ১৯৬৩ সাল।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট আলেমে দীন প্রফেসর মাওলানা মো: সালাহ উদ্দিন। মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে সম্প্রতি সরকার দক্ষিণ দিকে সুউচ্চ প্রবেশদ্বার ও সুউচ্চ মিনার নির্মাণ করেন।

ঢাকাকে বলা হয়ে থাকে মসজিদের শহর। ঢাকার হাজারো মসজিদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় মসজিদ হলো এই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৫৯ সালে সে সময়ের বিখ্যাত শিল্পপতি ছিলেন আব্দুল লতিফ বাওয়ানী। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সামরিক শাসক মেজর জেনারেল ওমরাও খানের নিকট বাইতুল মোকাররম নামে মসজিদ নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ওমরাও খান মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন। ১৯৫৯ সালের ২৭ এপ্রিল আব্দুল লতিফ বাওয়ানীর বাড়িতে মসজিদ নির্মাণের একটি সভা করা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জি.এ. মাদানী, হাজী আব্দুল লতিফ বাওয়ানী, এম.এইচ. আদমজী, এস. সাত্তার, মুহাম্মদ সাদিক, এ.জেড.এন রেজাই করিম ও মেজর ওমরাও খান।

ওই সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, পল্টন পুকুর ভরাট করে বায়তুল মোকররম মসজিদ নির্মাণ করা হবে। পুকুর ভরাট হলে ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের নকশা প্রদান করেন প্রকৌশলী আবুল হোসেন থারিয়ানী। নির্মাণ কাজ দেখাশোনা করেন প্রকৌশলী মঈনুল হোসেন। ৬০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই মসজিদের জন্য সরকার বরাদ্দ দেয় ৮.৩০ একর জমি।
বায়তুল মোকাররম মসজিদটি প্রধানত ৮ তলা। এখানে রয়েছে বিপণি বিতান এবং নিচ তলায় গুদামঘর। প্রথম হতে ৬ষ্ঠ তলা ভবন বা ইমারত। এই মসজিদে মহিলাদের নামাজের জন্য পৃথক স্থানও রয়েছে। আয়তন ৬,৩৮২ বর্গফুট। মসজিদ বেলকনিসহ সব মিলিয়ে মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররম মসজিদে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬২ বর্গফুট এলাকা নামাজের জন্য ব্যবহার করেন।

উপরে