গার্গল করার উপকারিতা জানেন তো?
প্রাচীনকাল থেকে গরম পানিতে লবন দিয়ে গার্গল করা প্রচলিত একটি স্বাস্থ্যচর্চা। তবে আমরা সাধারণত গলা ব্যথা হলে গার্গল করে থাকি। তবে আপনি কি জানেন? শুধু গলা ব্যথায় নয় গার্গল করার রয়েছে নানারকম উপকারিতা। জানলে অবাক হবেন।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক গার্গল করার উপকারিতা গুলোঃ
১। দাঁত থেকে রক্ত পড়া, মাড়ি ফোলা ইত্যাদি নানান মুখের সমস্যা দূর করা যায় কুসুম গরম লবণ পানি দিয়ে।
২। পিএইচ’য়ের ভারসাম্য রক্ষাঃ লবণ পানির মিশ্রণ গলায় ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টিকারী অ্যাসিড দূর করে। এটা পিএইচয়ের ভারসাম্য রক্ষা করে, যা মুখের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
৩। নাসিকা পরিষ্কার রাখেঃ গার্গল করলে নাক ও গলার মিউকাস বা শ্লেষ্মা দূর হয়। এতে সংক্রমণ কমে এবং গলা ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও এটা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে।
৪। শ্বাসনালীর সংক্রমণ দূর করেঃ জাপানে পরিচালিত এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, দিনে তিনবার লবণ ও গরম পানি দিয়ে গার্গল করা হলে তা শ্বাসনালীর সংক্রমণের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনে।
৫। টন্সিলের ব্যথা থেকে মুক্তিঃ গলার দুপাশে ফুলে ওঠা কোষকে টন্সিল বলে, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। টন্সিলের কারণে ব্যথা হয় এবং খাবার গিলতে কষ্ট হয়। গরম পানি দিয়ে কুলিকুচি করা হলে ব্যথা করে এবং টন্সিলের লক্ষণ হ্রাস পায়।
৬। মুখের দুর্গন্ধ দূরঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে গরম লবণ পানি খুবই কার্যকর। এটা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়া দূর করে
৭। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ও দাঁতে ব্যথা দূরঃ লবণ গরম পানি ব্যাকটেরিয়ার কারণে দাঁত থেকে রক্ত পড়া ও মাড়ি ফোলার সমস্যা দূর করে। লবণ পানি দিয়ে মুখ ধুলে সংক্রমণ কমে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। এটা দাঁতের ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে।
৮। মুখের আলসারঃ মুখে আলসারের চেয়ে ব্যথাদায়ক আর কিছুই নেই। এই অবস্থায় খাবার খাওয়া বেশ কষ্টকর। লবণ পানি ব্যথা কমায় এবং মুখে আরামের ব্যবস্থা করে।
লবণ পানি দিয়ে গার্গল করার পদ্ধতিঃ
- এক কাপ গরম পানিতে আধা চা-চামচ লবণ দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে নিন।
- মুখে বেশি করে পানি নিন।
- মাথা খানিকটা পেছন দিকে নিয়ে হেলে ৩০ সেকেন্ড গার্গল করুন।
- এভাবে সম্পূর্ণ পানি দিয়ে কুলকুচি করতে হবে।