দেহের আয়রন এর ঘাটতি কমাবে যেসব খাবার।
শরীরের জন্য আয়রন খুব জরুরী। কারন হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য এর প্রয়োজন খুব বেশী। হিমোগ্লোবিন শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। তাই সুস্থ থাকতে হলে আয়রন খুব দরকারী।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কোন খাবারগুলো দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করেঃ
১) যকৃৎ ও অন্যান্য প্রত্যঙ্গঃ
গরু ও ছাগলের কলিজা কিংবা যকৃৎ আয়রণে ঠাসা। মগজ ও হৃদযন্ত্রেও মিলবে এ উপাদান। যাদের অতিমাত্রায় রক্তস্বল্পতা রয়েছে, তাদের এগুলো খাওয়া জরুরী।
২) শিমজাতীয় উদ্ভিদের বিচিঃ
শিম ও মটরশুঁটির বিচি, কালাই, মটর কিংবা ছোলায় রয়েছে আয়রন। মূলত নিরামিষভোজীদের লৌহের প্রয়োজন মেটায় এগুলো। বিভিন্ন ধরনের ডালও রয়েছে এ তালিকায়।
৩) পালং শাকঃ
এতে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম রান্না করা পালং শাকে রয়েছে ৩ দশমিক ৬ মিলিগ্রাম আয়রন। আবার এতে ভিটামিন ‘সি’ আছে। কাজেই আয়রন গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হয় না। এই ভিটামিন মূলত আয়রন শুষে নিয়ে দেহকে সহায়তা করে। ক্যারোটেনয়েড নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে এই শাকে।
৪) লাল মাংসঃ
যদিও এই মাংস হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ হয়। তবু রক্তস্বল্পতার জন্য ‘রেড মিট’ বা লাল মাংস অতি জরুরি। আয়রনে ভরপুর এক খাবার।
৫) মিষ্টি কুমড়ার বীজঃ
এটি খুবই স্বাদের জিনিস। এতে আয়রন ভিটামিন ‘কে’, জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ আছে। এটি ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস।
৬) সিদ্ধ আলুঃ
সিদ্ধ আলুতে ভিটামিন সি, বি ভিটামিন, প্রচুর পটাশিয়াম থাকার পাশাপাশি উচ্চমাত্রার আয়রন থাকে। খোসা সহ একটি সিদ্ধ আলুতে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
৭। ডার্ক চকলেটঃ
ডার্ক চকলেট আমাদের জন্য ভালো। ডার্ক চকলেট আয়রনের একটি ভালো উৎস এবং এতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও থাকে।