ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
মরণব্যাধী ক্যান্সার

কোন খাবারগুলো মরণব্যাধী ক্যান্সার থেকে নিরাপদ রাখবে শরীরকে

20Fours Desk | আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৮:২৪
কোন খাবারগুলো মরণব্যাধী ক্যান্সার থেকে নিরাপদ রাখবে শরীরকে

ক্যান্সার একটি ‘মরণ ব্যাধি’ রোগ। তবে অনেকের অজানা যে প্রাকৃতিকভাবে কিছু খাবার আছে যা এই মরণ ব্যাধিকেও প্রতিরোধ করতে পারে। চিকিৎসকরাও বর্তমানে পুষ্টিকর খাদ্যের মাধ্যমেই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের কথা বলছেন। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখা হলে মরণব্যাধি ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব। আসুন জেনে নেই এই খাবারগুলো সম্পর্কেঃ

১) রসুনঃ

এটি ক্যান্সারের জীবাণু প্রতিরোধ করে। এমনকি কিছু ক্যান্সারের জীবাণু ভেঙ্গে ফেলে। তাই প্রতিদিন একটি খোয়া রসুন খান, এটি আপনার ভেতরের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করবে।

২) গ্রিন টিঃ

সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটচীন নামক উপাদান থাকে, যা বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। গ্রিন টি টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে। সাধারণ চায়ের চেয়ে গ্রিন টি বেশি উপকারী। তাই চা না খেয়ে গ্রিন টি বা সবুজ চা খাওয়া উচিত।

৩) গাজরঃ

গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারটিন আছে যা বিভিন্ন ক্যান্সার যেমন ফুসফুস ক্যান্সার, শ্বাসনালী ক্যান্সার, পাকস্থলী ক্যান্সার, অন্ত্র ক্যান্সার এমনকি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিন একটি গাজর বা এক গ্লাস গাজরের রস পান করলে এ সব রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৪) টমেটোঃ

এটি এক ধরনের ফল।কিন্তু এতে মসলাদার সুগন্ধের জন্য সবজি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।টমেটো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। টমেটোতে লাইকোপেন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে । টমেটোর রস ক্ষতিকর ডিএনএ এর কোষ নষ্ট করে ফেলে। তাই সপ্তাহে ২ থেকে ৩ টি টমেটো খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।

৫) বাদামঃ

বাদামে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। আর হৃদপিণ্ডের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাট থাকে বাদামের মধ্যে। যদি আপনি ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কযুক্ত ক্ষুধাহীনতায় ভুগে থাকেন অথবা ওজন কমাতে চান তাহলে বাদাম সবচেয়ে ভাল, কারণ অল্প পরিমাণ বাদাম আপনাকে অনেক পুষ্টি দিবে।এছাড়াও বাদামের মাখনও আপনার শরীরকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারবে।

৬) হলুদঃ

হলুদে ‘কারকিউমিন’ নামক উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। হলুদ ক্যান্সার কোষকে শরীরের ভাল কোষকে নষ্ট করতে বাধা দেয় এবং ক্যান্সার কোষকে নিস্তেজ করতে সাহায্য করে।

৭) ফুলকপি বা ব্রকলিঃ

ফুলকপি ও ব্রকলি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ একটি সবজি। ফুলকপি, বাধাঁকপির মত ব্রকলি একটি আঁশযুক্ত সবজি যা শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। এ ব্যাকটেরিয়ার দূর করতে অনেক সহায়ক। ব্রকলি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে আরও রয়েছে বিপুল পরিমাণ ক্যান্সার ফাইটিং ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস।

৮) তরমুজঃ

তরমুজের এক টুকরাতে প্রচুর ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন বিদ্যমান থাকে। তাছাড়া তরমুজেও লাইকোপেন থাকে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। এ ফলে ফুসফুস, মুখের, খাদ্যনালীর এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকির মুক্তি পাওয়া যাবে।

উপরে