জেনে নিন কোন কোন স্বাস্থ্য সমস্যা গরম পানিতেই দূর হবে।
গ্রীষ্ম কালে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ছাড়া চলা দায় হয়ে পড়ে।কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ঠান্ডা পানি শরীরের কত সমস্যা সৃষ্টি করে।সব থেকে ভাল হালকা গরম পানি পান করা। মাইগ্রেন, উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করতে শতভাগ কার্যকরী গরম পানি। এছাড়া এজয়েন্টে ব্যথা, মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টরেল, গেঁটে ব্যথা, মৃগীরোগ, হাঁপানি, হুপিং কাশি, পাকস্থলির সমস্যা, ক্ষুধামন্দা, চোখ, নাক, কান ও গলার সব সমস্যা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি। আসুন জেনে নেই কিভাবে ব্যবহার করতে হবে গরম পানি পান করার নিয়মঃ
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পাকস্থলি খালি থাকে। ঘুম থেকে উঠার পর দুই গ্লাস গরম পানি পান করতে হবে। শুরুতেই ঘুম থেকে উঠার দুই গ্লাস গরম পানি পান করা কঠিন হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে। পানি পান করার ৪৫ মিনিটের মধ্যে কিছু খাওয়া যাবে না।
নিয়মিত পানি পান করলে যেসব সমস্যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দূর হবেঃ
১) ডায়াবেটিস ও রক্তচাপঃ
৩০ দিন এ নিয়মে পানি পান করলে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
২) পাকস্থলির সমস্যাঃ
ঠান্ডা পানি পাকস্হলির সমস্যা বৃদ্ধি করে ১০ দিন গরম পানি খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৩) ক্ষুধামন্দাঃ
১০ দিন গরম পানি পান করলে এটি দূর হবে।
৪) নাক, কান ও গলার সব সমস্যাঃ
কফ্ জমে কান ও গলা ব্যথার সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
৫) মাথা ব্যথা/মাইগ্রেনঃ
অনেকের অজানা,গরম পানি মাথা ব্যথা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৬) কোলেস্টরেলঃ
নিয়ম মেনে ৪ মাস গরম পানি খেলে শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভআ।
৭) হাঁপানিঃ
ঠান্ডা পানি হাঁপানির সমস্যার বৃদ্ধি ঘটায়।৪ মাস গরম পানি পান করলে এ সমস্যা থেকে পরিএাণ পাওয়া সম্ভব।
৮) শিরায় ব্যথাঃ
ঠাণ্ডা পানি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। তরুণ বয়সে এটা কোনো প্রভাব ফেলে না তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ঠাণ্ডা পানি ফুসফুসের ৪টি শিরা বন্ধ করে দেয় এবং শীরায় ব্যথার সৃষ্টি করে।
ঠাণ্ডা কোমল পানীয়ও হৃদরোগের জন্যও দায়ী। এটা যকৃতকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। পাকস্থলীকেও ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ঠাণ্ডা পানি।