ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
মাইগ্রেন দূর করতে যা খাবেন এবং খাবেন না

জেনে নিন মাইগ্রেন দূর করতে যা খাবেন এবং খাবেন না

20fours Desk | আপডেট : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৫৯
জেনে নিন মাইগ্রেন দূর করতে যা খাবেন এবং খাবেন না

মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যেকোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে অনেক সময় পুরো মাথায় ব্যথা করে। এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কের বহিরাবরণে যে ধমনিগুলো আছে, সেগুলো মাথাব্যথার শুরুতে স্ফীত হয়ে যায়। মাথাব্যথার সঙ্গে বমি এবং বমি বমি ভাব রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম হতে পারে।মাইগ্রেনের মাথা-ব্যথার কারণ পুরোপুরি জানা যায়নি৷ তবে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে সাময়িক ঘাটতির জন্যে মাইগ্রেনের ব্যথা হয়৷ মাইগ্রেনে আক্রান্ত রোগীদের আত্মীয়দের মধ্যেও একই রোগ লক্ষ্য করা যায় বলে এটা নিশ্চিত যে রোগটির বিকাশের ক্ষেত্রে জেনেটিক (বংশগত) প্রবণতা রয়েছে, অর্থাৎ আপনার বাবা-মার থাকলে আপনারও হতে পারে৷
খাদ্যাভাসের বৈচিত্র্যের কারণে মাইগ্রেনের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে: যেমন চকোলেট, পনির বা মদ্যপান (অ্যালকোহল) মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়িও একই ভূমিকা রাখতে পারে৷ এছাড়া অতিরিক্ত কাজের চাপ, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের সঙ্গেও মাইগ্রেনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে৷ তাই আজকের লেখাতে থাকছে আপন্দের জন্য মাইগ্রেন দূর করতে যা খাবেন এবং খাবেন না সে ব্যাপারে।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মাইগ্রেন দূর করতে যা খাবেন এবং খাবেন নাঃ

(১) কফি, চকলেট, পনির, আইসক্রীম, মদ ইত্যাদি বর্জন করা উচিত। অধিক সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। পরিশ্রম, মানসিক চাপ এবং দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেনের আক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

(২) ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- ঢেকিছাঁটা চালের ভাত ও এ চালের বিভিন্ন পদ, আলু ও বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক। বিভিন্ন ফল বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে।

(৩) ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমান ক্যালশিয়াম রয়েছে। আদার টুকরো বা রস দিনে ২ বার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

(৪) সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি নিয়মিত খেলে উপকার হয়। পানি, হার্বাল টি; হার্বাল টির মধ্যে বেছে নিতে পারেন গ্রিন টি।

এছাড়া যাদের মাইগ্রেন আছে, তাদের অন্তত দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম আবশ্যক। অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কড়া রোদ বা তীব্র ঠাণ্ডা পরিহার করতে হবে। উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ থাকবেন না। বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে থাকবেন না।

উপরে