ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
পেটের মেদ

কি কি কারনে পেটের মেদ বাড়ে

কি কি কারনে পেটের মেদ বাড়ে

খুব বেশি না খাওয়া সত্ত্বেও বেড়ে চলেছে মেদ?
পেটের মেদ বাড়লে আমরা সবাই বেশ চিন্তায় পরে যাই। ভুঁড়ি থাকা সুখী মানুষের লক্ষণ- এই প্রবাদটির বর্তমানে তেমন কোনো মূল্যই নেই। একটু পেটের মেদ বাড়লে তা কমানো এবং ঢাকার জন্য আমরা সবাই উঠে পড়ে লাগি। পেটের মেদ নানা রোগের জন্ম দেয়। এছাড়াও একটু স্টাইলিশ মানুষের সাথে পেটের মেদটা ঠিক মানায় না।

বেশিরভাগ সময় নিয়ম না মেনে খাওয়ার পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন বদভ্যাসের কারণেই ওজন বেড়ে যায়। রাতে না ঘুমানো কিংবা অমনোযোগী হয়ে খাওয়ার কারণে পেটে জমতে পারে মেদ।

চলুন জেনে নেয়া যাক আমাদের দৈনন্দিন কোন অভ্যাসগুলো মেদ বাড়ার জন্য দায়ী-
 
রাত জাগা
রাতে ঘুম না হওয়াও মেদ বাড়ার জন্য দায়ী। অনেকে রাত জেগে কাজ করেন। ফলে বারবার খাওয়া হয়। রাতে ঘুম না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেহের কার্যক্রম। ফলে মেদ বাড়তে থাকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। সুস্বাস্থ্যের জন্য রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। রাতে ক্ষুধা লাগলে স্ন্যাকসজাতীয় খাবার খাবেন না। ফল অথবা পুষ্টিকর খাবার খান। রাতে ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন।

ক্ষুধা না লাগলেও খাওয়া
পেটের ক্ষুধা মিটলেও অনেক সময় মনের ক্ষুধা মেটানোর জন্য এটা-সেটা খাওয়া হয়ে যায়। এই অভ্যাস খুবই ক্ষতিকর শরীরের জন্য। এতে মেদ বাড়ে।
 
সকালের নাস্তা না খাওয়া
অনেকেই তাড়াহুড়ায় সকালের নাস্তা না খেয়েই বেরিয়ে যান কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশে। এটি খুবই অনুচিত। কারণ সারারাত ঘুমের পর সকালের ভারি ও পুষ্টিকর নাস্তা সারাদিনের শক্তি যোগায়। নাস্তা না খেলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে মেদ জমতে শুরু করে।

অমনোযোগী হয়ে খাওয়া
অনেকে কাজ করতে করতে খাবার খান। এতে অনেক সময় বেশি খাওয়া হয়ে যায়। টিভি দেখতে দেখতে বা কোনও কাজ করতে করতে খাওয়া উচিত নয়। কন্টেইনার থেকে খাওয়াও অনুচিত। পরিমাণ মতো খাবার একটি প্লেটে নিয়ে তারপর খেতে বসুন।

ফাস্টফুডে আসক্তি
ফাস্টফুড ও কোল্ডড্রিংকের প্রতি আসক্তি থাকলে মেদ বাড়তেই থাকবে। প্রচুর ক্যালোরি ও চিনি থাকে এসব খাবারে। ক্ষুধা লাগলেই ঝটপট ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন তাই।

নিয়ম মেনে না খাওয়া
অনেকক্ষণ আগেই ক্ষুধা লেগেছে, কিন্তু খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না। আবার যখন সময় পেলেন, তখন খাওয়া হয়ে গেল বেশি! এমন সমস্যায় সম্মুখীন হতে হয় আমাদের প্রায়ই। এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে মেদ জমে শরীরে। একবারে বেশি না খেয়ে বারবার অল্প করে খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত। ক্ষুধা লাগলেই পুষ্টিকর কোনও খাবার খেতে পারেন। হাতের কাছে বাদাম, শুকনা ফল রাখুন হঠাৎ ক্ষুধা লাগলে খাওয়ার জন্য।

রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া
অনেকেই রাতে বেশ দেরি করে খাবার খেয়ে থাকেন। এবং খাওয়ার পরপরই বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আপানার এই বাজে অভ্যাসটিও পেটে মেদ জমার জন্য দায়ী। ভরা পেটে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলে আপনার হজমের সমস্যা হয়। এতে করে পেটে মেদ জমে। তাই রাতে দেরি করে খাবেন না। আর যদি নিতান্তই দেরি করে খেতে হয় তবে খাওয়ার পরে অন্তত ২/৩ ঘণ্টা পরে ঘুমাতে যান।

রাগ, বিষণ্ণতা এবং দুঃখ পেলে খাওয়া
অনেকেই আছেন রেগে গেলে কিংবা বিষণ্ণতায় পড়লে অথবা কোন ব্যাপারে দুঃখ পেলে খাবার খান। কিছুটা খাবার খাওয়া অবশ্যই খারাপ কিছু নয়, যদি তা আপনার মুড ঠিক করতে সাহায্য করে। কিন্তু সমস্যা হলো এই ধরণের অনুভূতির সময় আমরা কতোটা খাচ্ছি তার হিসাব আমরা রাখতে পারি না এবং রাখার মতো মানসিকতায় থাকি না। তখন অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যায় এবং সবই আজে বাজে খাবার যা বাড়ায় পেটের মেদ। তাই রাগ, বিষণ্ণতা এবং দুঃখ পেলে খাওয়ার অভ্যাসটি ত্যাগ করাই ভালো।

সুত্র- স্বাস্থ্য বটিকা

উপরে