ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
মানসিক স্বাস্থ্য

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি চান? কিছু অভ্যাস তৈরি করুন

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি চান? কিছু অভ্যাস তৈরি করুন

এমন কিছু ছোট ছোট পদক্ষেপ আছে যেগুলো দৈনন্দিন জীবনে গ্রহণ করলে এবং কিছু নতুন অভ্যাস তৈরি করলে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা যায় এবং সুখি হওয়া যায়।

সুখবর হলো এই পরিবর্তনগুলো আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারবেন।

আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে।

আলসেমি ত্যাগ করুন
কোনো কাজ করা নিয়ে উদ্বিগ্নতা বা ভীতির কারণে আপনি যতই সেই কাজটিকে সম্পন্ন না করে ফেলে রাখবেন ততই আপনার স্নায়ু ধ্বংস হবে এবং আরো নিস্তেজ হতে থাকবে।

সটান হাঁটুন
এক গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যদি সক্রিয়ভাবে মাথা উঁচু করে এবং কাঁধটা পিছনের দিকে হেলিয়ে প্রতিদিন সটান হয়ে হাঁটতে পারেন তাহলে আপনার মুড ভালো থাকবে। কিন্তু আপনি যদি সবসময় কাঁধ কুজো করে সামনের দিকে ঝুকে হাঁটেন তাহলে আপনার মানসিক অবস্থা খারাপের দিকেই যাবে।

সবকিছুরই ছবি তোলা বন্ধ করুন
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন ছবি তোলার মাধ্যমে প্রতিটি মুহূর্তই স্মরণে রাখা সম্ভব, তাহলে ভুল ভাবছেন। কারণ সম্প্রতি সাইকোলজিকাল সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় এর উল্টোটাই দেখা গেছে। এরপরও যদি আপনি ছবি তুলতে চান তাহলে যে জিনিসের ছবি তুলছেন তাতে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন।

শরীরচর্চা
প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবার শরীরচর্চা করলে আপনার মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে ১৯%। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সক্রিয় থাকেন তাদের মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। আর অবসাদে আক্রান্তরা খুব কমই সক্রিয় হয়ে থাকেন।

বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন
যে আপনাকে সবসময়ই নিচু করে এমন কারো সঙ্গে সম্পর্কবদ্ধ থাকলে আপনার আত্মসম্মানবোধ নষ্ট হয়ে যাবে। যা হয়তো আপনি টেরও পাবেন না। এর ফলে আপনি শেষমেষ উদ্বেগ এবং অবসাদে আক্রান্ত হয়ে পড়বেন। বন্ধু বা পরিবারের লোকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন এবং নিপীড়নমূলক সম্পর্কের লক্ষণুগুলো পড়ুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে
আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমান তাহলে আপনার দেহ ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে পারবে না। আপনার যদি ঘুমাতে সমস্যা হয় তাহলে চেষ্টা করে বের করুন কেন এমনটা হচ্ছে। তা করতে না পারলে কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

নিজের জন্য একান্ত সময় ব্যয় করুন
বন্ধু, পরিবার এবং কাজের মধ্যে সকলকেই খুশি রাখার মানে হলো আপনি নিজেকে অবহেলা করছেন। এবং কখনোই নিজের জন্য একান্তে কোনো সময় কাটান না। নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নিন এবং নিজের জন্য কিছু একটা করুন। এতে আপনি উদ্বেগ এবং অবসাদ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

ডিজিটাল ডিভাইসে সময় ব্যয় করা কমিয়ে দিন
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ মস্তিষ্ককে অতিবেশি উদ্দিপীত করে তুলতে পারে। সারাক্ষণ ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে পড়ে থাকলে আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য অনুকূল কোনো কাজ করছেন না। প্রতি সপ্তাহে অন্তত আধা দিন বা কয়েক ঘন্টার জন্য হলেও ডিজিটাল প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন।

একসঙ্গে একাধিক কাজ করা বন্ধ করুন
দুপুরের খাবার খেতে খেতে ইমেইল পাঠানো হয়তো আপনার কাছে খুব একটা বিপজ্জনক মনে নাও হতে পারে। কিন্তু একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে আপনি আরো বেশি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। তারচেয়ে বরং আপনি যে একটি কাজ করছেন তার ওপর মনোযোগ নিবদ্ধ করুন এবং চারপাশে কী ঘটছে সেদিকে নজর রাখুন।

সূত্র: এনডিটিভি

উপরে