ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
হাত পায়ের জ্বালা-পোড়া

হাত পায়ের জ্বালা-পোড়া উপশমের উপায়

| আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭ ১৫:৪৯
হাত পায়ের জ্বালা-পোড়া উপশমের উপায়

অনেকেই রাতে ঘুমানর সময় হাত-পায়ের প্রচণ্ড জ্বলন অনুভব করে থাকেন। শুধু রাতেই না, এই জ্বলন আপনি যে কোনো সময় অনুভব করতে পারেন। এটা খুব অসস্থিকর এবং কষ্ট দায়ক। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞগন বলেন, সাধারণত এটি ক্ষেত্রবিশেষে  পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্তের কারনে হয়ে থাকে। আপনি গর্ভবতী হন তাহলে এটা কোলেস্টাসিসের কারণেও হতে পারে। এর ফলে হাত পা ফেটে যেতে পারে ও হাত ও পায়ের তলায় ঘা সহ বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে। এই জ্বলন থেকে পরিত্রাণ পেতে ঔষধ এর উপর নির্ভর না করে, আত্মনির্ভর ও সচেতন হয়ে এবং প্রাকৃতিক বিভিন্ন বস্তু ব্যাবহার করেও মুক্তি পেতে পারেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক হাত ও পায়ের জ্বালা-পোড়া থেকে মুক্তির কয়েকটি পদ্ধতি:

রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করুণ কিন্তু গরম পানি পরিহার করুণ:

রাতে হাত-পা জ্বলা পোড়া থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে গোসল করুণ। গোসলের সময় মনে রাখবেন।

১। পানি যেনো কিছুতেই গরম না হয়। গরম পানি আপনার শরীর থেকে প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে দিতে পারে ফলে আপনার স্কিন ড্রাই হয়ে যেতে পারে।
২। দীর্ঘ সময় গোসল না করে স্বল্প সময় গোসল করেন, বেশি সময় গোসল করলেও ত্বক ড্রাই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থকে। ফলে জ্বলন আরও বেড়ে যেতে পারে।

ময়শ্চারাইজার ব্যাবহার করুণ: জ্বলন এবং চুলকানি প্রশমিত করতে ওয়েল বেজ লোশন লাগাতে পারেন, এতে করে আপনার ত্বক সফট হবে ও এতে স্কিনের সেলসগুলোকে রক্ষা করবে। বর্তমানে ওষুধের দোকানগুলোতে এমন অনেক লোশন পাওয়া যায়। এতে করে আপনার হাত ও পায়ের তলার জ্বলন ও চুলকানি প্রশমিত হতে পারে। রাতে খুমানোর আগে ও গোসলের পর ভেজা শরীরে লোশন ব্যাবহার করুণ।

টক ফল খান: প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও যে কোনো টক ফল পানি মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পরপর খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রথমে শরীরকে অ্যাসিডমুক্ত রাখুন। এটি খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন। চাইলে হালকা খাবার খেতে পারেন। প্রতিদিন ৫০ গ্রাম আঙুর খেলেও জ্বালা কমকে। এছাড়া পায়ের ফাটা ভাব কমলেও হাতের কোমল ভাব বজায় থাকবে।

প্রচুর পানি পান করুণ: শরীরে পানি শূন্যতা হতেও জ্বলন হতে পারে। সাধারণত যারা পানি কম পান করেন তাদের উচিত বেশি পরিমাণে পানি পান করা এবং মিনারেল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া। এতে করে হাত-পা ও শরীর জ্বালা-পোড়া অনেক অংশে কমে যাবে।

সম্পাদনা: তাহমিনা শাম্মী

উপরে