কান ফোঁড়ানোর সময় যা অবশ্যই মেনে চলতে হবে
নারীদের কানে দুল যেন তার সৌন্দর্যকে আরও অনেক বাড়িয়ে দেয়। আর এই দুল পড়ার জন্য নারীদের কানের লতিতে ফুটো করতে হয়। একে বলা হয়ে থাকে কান ফোঁড়ানো। এই পৃথিবীতে প্রত্যকে নারীই তার কান ফুঁড়িয়ে থাকে। এটি সেই প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। এটি যে শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি জন্য করা হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়। কান ফুটো যে শুধু নারীরাই করে তা কিন্তু নয়, অনেক পুরুষরাও কান ফুটো করে থাকে। সাধারণত অনেক কম বয়েসেই কান ফোঁড়ানো হয়ে থাকে। ৩-৫ বছর বয়সেই কান ফোঁড়ানো হয়ে থাকে। যেহেতু এসময় আপনার বাচ্চার বয়স অনেক কম থাকে, তাই সে অনেক ভয় পেতে পারে। আবার কান ফোঁড়ানো হয়ে গেলে অনেক সময় অজ্ঞতার কারণে কানে ইনফেকশন হয়। যা অনেক কষ্টকর। তাই কান ফোঁড়ানোর আগে এবং পরে আমাদের কিছু বিষয়ে অনেক সাবধান থাকতে হয়। আসুন তবে জেনে নিই কান ফোঁড়ানোর সময় আমাদের কি কি বিষয় মেনে চলতে হবে।
বাচ্চার কান ফোঁড়ানোর সময় যা করতে হবেঃ
১। যেহেতু আপনার সোনামণির প্রথম কান ফোঁড়ানো হবে, তাই সে অনেক ভয় পেতে পারে। তাই কান ফোঁড়ানোর আগে অবশ্যই তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। কান ফোঁড়ানোর সময় অবশ্যই শরীরের কোথাও কোনো ইনফেকশন আছে কি না তা দেখে নিতে হবে।
২। এখন সাধারণত সবাই পারলারেই কান ফুঁড়িয়ে থাকে। আর পারলারে কান ফোঁড়ানোর জন্য সাধারণত কানের লতিতে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। তারপর সুইযুক্ত বিশেষ যন্ত্র দিয়ে কান ফোঁড়ানো হয়। যদি বাসায় সুই দিয়ে কান ফোঁড়ানো হয় তাহলে তা জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
৩। কান ফোঁড়ানোর সাথে সাথেই কানে গোল্ড প্লেটেড বা ইমিটেশনের কানের দুল পরানো হয় এবং এটি অবশ্যই তিন দিন পর এই দুল খুলে রাখতে হবে। এতে ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে না।
৪। কান ফোঁড়ানোর পর অ্যালার্জি জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। যদি কান ফোঁড়ানোর স্থান পেকে যায় বা ইনফেকশন হয়ে তাহলে ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এসময় যদি লেবু, কমলার মতো খাবার যেগুলোতে ভিটামিন সি আছে এমন খাবার খেলে তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যায়।
৫। কান ফোঁড়ানোর পর কানের পেছনে অংশ ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। নাহলে ইনফেকশন হতে পারে। আবার এস্থানে যেন কোনোভাবে ব্যথা না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কান ফোঁড়ানোর আগে জানতে হবে শিশুকে ধনুষ্টঙ্কারের টিকা দেওয়া আছে কি না। না থাকলে টিকা দিয়ে নিতে হবে।