ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
শীত এলেই শরীরে ব্যাথা বেড়ে যায়?

শীত এলেই শরীরে ব্যাথা বেড়ে যায় কেন? প্রতিকার কি?

20fours Desk | আপডেট : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:১৩
শীত এলেই শরীরে ব্যাথা বেড়ে যায় কেন? প্রতিকার কি?

বছর শেষে আবার চলে এল শীতকাল। আর শীত মানেই আমাদের অনেকের কাছে আতঙ্কের একটি নাম। কারণ এই শীতে আমাদের অনেকেরই দেখা দেয় বিভিন্ন রকম সমস্যা। আর শীতকালীন বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাথা। শীতকাল এলেই অনেকের শরীরে অনেক ব্যাথা হতে থাকে। আবার কারও কারও পুরাতন ব্যাথা এই শীতে অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে আথ্রাইটিসের ব্যাথা, কোমড় ব্যাথা, হাড়ের জয়েন্টের ব্যাথা, বাতের ব্যাথার মত সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। আসুন তবে আজ জেনে নিই কেন শীত এলে আমাদের ব্যাথা হয় এবং কিভাবে এই ব্যাথা কমানো যায়।

শীতে কেন ব্যাথা বাড়েঃ

শীতকালে আমাদের ব্যাথা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, এসময় আমাদের হাত বা পায়ে রক্তসঞ্চালন অনেক কমে যায়। ফলে হাড়ের জয়েন্ট সমূহ এবং মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায়। আর মূলত একারণেই শীত এলেই ব্যাথা অনেক বেড়ে যায়। এছাড়াও শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাবে হাড়ের জয়েন্টের চারপাশ ঠান্ডা লাগার ফলে এতে থাকা স্নায়ু সমূহ অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পরে। এর ফলেও আমাদের ব্যাথা হয়ে থাকে বা বেড়ে যায়। এছাড়াও শীতকালে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ অনেক কমে যায়। আর এর ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় এবং এর ফলে হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা হয়ে থাকে। একই সাথে শীতকালে বাতাসের চাপে অক্সিজেন কমে যায়। ফলে আমাদের শরীরের ভেতরে অক্সিজেন কম প্রবেশ করে। এটিও শরীরের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

যেভাবে এই ব্যাথা কমানো যাবেঃ

১।  যদি আপনাকে নিয়মিত কোন ওষুধ খেতে হয় তাহলে শীত এলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলে সে ওষুধের ডোজ ঠিক করে নিতে হবে।

২। নিয়মিত হাঁটতে হবে কিংবা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। অনেকেই শীত এলে হাঁটা বন্ধ করে দেয়। এটি একদমই ঠিক না। সুবিধার জন্য সময় পরিবর্তন করে নিন।

৩। শরীরের পর্যাপ্ত রোদ লাগাতে হবে। কারণ শীতকালে শরীরের ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কমে যায় এবং শীতের রোদে ভিটামিন ডি বেশি থাকে ।

৪। পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। তবে ঠান্ডা পানি খাওয়া যাবে না। হালকা কুসুম গরম পানি খেতে হবে। গরম কাপড় পরতে হবে। শরীরের ঠান্ডা লাগানো যাবে না।

৫। শীতে যেন শরীরে পুষ্টি ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে। সর্দি-কাশি বা জ্বর যেন না হয়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

উপরে