ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
রিফাইন্ড চিনি খাচ্ছেন?

রিফাইন্ড চিনি খাচ্ছেন? জানেন তো এটি খেলে কি হতে পারে?

20fours Desk | আপডেট : ৫ নভেম্বর, ২০১৮ ১০:৩৩
রিফাইন্ড চিনি খাচ্ছেন? জানেন তো এটি খেলে কি হতে পারে?

চিনি আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসগুলোর মধ্যে একটি। প্রায় সকল খাবারে মিষ্টি স্বাদের জন্য চিনি ব্যবহার করা হয়। যদিও অতিরিক্ত চিনি আমাদের খাওয়া একদমই উচিত না। কিন্তু তারপরেও আমাদের জন্য চিনি অত্যান্ত প্রয়োজনীয়। ইদানিং বাজারে কিনতে পাওয়া বেশির ভাগ চিনিই হলো রিফাইন্ড চিনি বা পরিশোষিধ চিনি। এসব রিফাইন্ড চিনি আমাদের শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। সাদা চকচকে দেখতে এসব চিনি এতটাই স্বচ্ছ যে, একদিক থেকে অন্যদিক পর্যন্ত দেখা যায়। আর এসব চিনি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সারফার ডাইঅক্সাইড, ফসফরিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড ও অ্যাক্টিভেডেট কার্বনের মত ক্ষতিকর সাব রাসায়ানিক উপাদান। আসুন জেনে নিই এসব রিফাইণদ চিনি খেলে আমাদের কি কি ক্ষতি হয়ে থাকে।

রিফাইন্ড চিনির ক্ষতিকর দিকঃ

১। রিফাইন্ড চিনি খেলে আমাদের রক্তে  ভালো কোলেস্টেরল কমে যায়। আর ভালো কোলেস্টরল আমাদের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একই সাথে এই চিনি আমাদের আমাদের  ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়িয়ে দেয়। আর এর ফলে আমাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

২। রিফাইন্ড চিনি খেলে আমাদের ব্রেনের মধ্যে ‘ফিল গুড’ সেরোটোনিন এর মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। আর যখন এই চিনি আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় তখন মানুষের মধ্যে অবসাদ অনেক বেড়ে যায়। আর এর ফলে আমাদের মাঝে বেড়ে যায় ডিপ্রেসন। তাই অবশ্যই আমাদের রিফাইন্ড চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও এটি খেলে ব্রেনের ডোপামাইন নিঃসরণ যা ড্রাগের নেশার মতো। যে কারণে, এই চিনির প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়।

৩। রিফাইন্ড চিনি খেলে আমাদের ত্বকের মারাত্বক ক্ষতি হয়ে থাকে।এই চিনি বেশি পরিমাণ খেলে আমাদের ত্বকের ‘ইলাস্টিসিটি’ কমে যায় এবং ত্বক ঝুলে যায়। আর এর ফলেই আমাদের ত্বক অনেক তাড়াতাড়ি কুঁচকে যায়। ফলে দেখা দেয় বলিরেখার মত সমস্যা। আর অল্পতেই আমাদের ত্বকের বয়স অনেক বেড়ে যায় এবং ত্বকের সৌন্দর্য অনেক কমে যায়।

৪। যখন আমাদের শরীরে রিফাইন্ড চিনির মাত্রা বেশি হয়ে যায়, তখন এর উপাদান আমাদের ইনসুলিন কোষের মারাত্বক ক্ষতি করে। এমনকি এটি আমাদের ইনসুলিন কোষকে মেরেও ফেলতে পারে। আর এর ফলে আমাদের ওজন বেড়ে যায়। আর আমরা জানি অতিরিক্ত ওজন মানেই টাইপ টু ডায়েবেটিস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয় সহ আরও নানা সমস্যা।

৫. রিফাইন্ড সুগারে থাকে ফ্রুকটোজ। যা হজম করাতে সাহায্য করে শুধু লিভার। আর অধিক পরিমাণ ফ্রুকটোজ ফ্যাটে পরিণত হইয়ে যায়। যা আমাদের লিভারের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকারক। এছাড়াও রিফাইন্ড সুগার খেলে ব্রেস্ট, কোলোন, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম বের করে দেয়। যা আমাদের হাড় ও দাঁতের ক্ষতি করে।

উপরে