সঠিক পেশা নির্বাচনে কিছু টিপস
মানুষের মধ্যে সারাদিন যে বিষয়টি চিন্তার উদ্রেক করে তার নাম পেশা বা ক্যারিয়ার। অনেকেই ক্যারিয়ার গাইডলাইন নিয়ে পড়ে থাকেন। পড়তে পড়তে ভুলেই যান আবার কোথা থেকে শুরু করবেন। বেশির ভাগ মানুষ তাদের পেশা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ভোগেন। অল্প কিছু মানুষই আছেন যারা নিজের নির্বাচন করা পেশা বা ক্যারিয়ার নিয়ে অনড় থাকেন। সব শেষে ঐ পেশাতেই জীবন অতিবাহিত করেন। অনেকেই আছেন ছাত্র অবস্থায় যে প্ল্যান নিয়ে শুরু করেছিলেন তা কর্ম জীবনে এসে পরিবর্তন করে ফেলেছেন। এসবের অনেক কারন আছে। আজ পেশা নির্বাচন করা নিয়ে কিছু ধারনা দেয়ার চেষ্টা করছি।
জীবনে যেটা হতে চান সেটা মন থেকে মেনে নিনঃ
শুরুতেই বলেছিলাম প্রতিযোগীতার ইদুর দৌড়ে অনেকেই নিজের ইচ্ছা নিজের স্বপ্ন কে মাটি চাপা দিয়ে ফেলে। পরবর্তিতে সেটা আর খুজে পাওয়া যায় না। অনেকে আবার সমাজ কি বলবে এই ভয়ে নিজের ইচ্ছা কে গোপন করে রাখে। নিজের মন কে শক্ত করুন। আপনি যা জীবনে করতে চান সেটা নিজ থেকে আগে মেনে নিন। দেখবেন অনেক মনোবল বেড়ে যাবে।
নিজের প্রতিভাকে/ ট্যালন্ট কে মূল্য দিনঃ
আপনি হয়তো বা এমন কিছু হতে চান যেটার জন্য আপনি নিজেকে প্রস্তুত মনে করছেন না। যেমন আপনি যদি টিচার হতে চান কিন্তু ভয় পাচ্ছেন আপনার ভেতর অনেক ঘাটতি আছে। সেগুলো খুজে বের করে ঘাটতি গুলো পুরনের কাজে লেগে পরুন। সেই বিষয়ের উপর কোন কোর্স ও করতে পারেন। তাতে আত্ববিশ্বাস বাড়বে।
গন্তব্যে পৌছানোর সহজ রাস্তা খুজে পাচ্ছেন নাঃ
এ যায়গায় এসে অনেকেই হতাশ হয়ে পরে, কিভাবে সামনে আগাবেন সেই প্ল্যান যদি না থাকে তবে আপনিও হারিয়ে ফেলতে পারেন আপনার গন্তব্যের রাস্তা। এ জন্য আগে পরিকল্পনা করুন কিভাবে সামনে এগোবেন তার। আপনার চলার পথটা সহজ হবে না বার বার আপনি বিফল ও হতে পারেন তবে হতাশ হবেন না।
স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবে এমন কাউকে খুজুনঃ
এটা খুব জরুরি, কোন কাজে আপনি যদি কোন সাহায্যকারী পান হতে পারে সেটা পরিবারের কেউ অথবা বন্ধু বান্ধব অথবা আপনার শিক্ষক বা অন্য কেউও হতে পারে, তখন কাজটি সম্পন্ন করা আপনার জন্য সহজ হবে।
আপনার পছন্দের পেশা বেছে নেওয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে সেটা যেন প্রোডাক্টিভ কিছু হয় যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিভাকেও বিকশিত করতে পারেন। নিজের এবং অপরের কল্যানের জন্য কিছু করতে চাইলে সেটা নিয়ে কাজ করতেও এক ধরনের মানসিক তৃপ্তি কাজ করবে। সুতরাং পেশা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমন কিছু পছন্দ করা উচিৎ যার মাধ্যমে আপনি নিজের এবং পারিবারিক বা সামাজিক কল্যানে কিছু করে যেতে পারেন।