ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
বিসিএস প্রস্তুতি

বিসিএস রিটেনে ভালো করার কিছু টিপস

| আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০৯:৩৪
বিসিএস রিটেনে ভালো করার কিছু টিপস

বিসিএস রিটেনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় যে দুটি ব্যাপার মাথায় রাখবেন তা প্রথমেই জেনে নিন-

১. কী কী পড়বেন সেটা ঠিক করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কী কী পড়বেন না সেটা ঠিক করা।
২. মুখস্থ করার দরকার নেই, শতভাগ শিখেছি ভেবে তার ৬০ ভাগ ভুলে গিয়ে বাকিটা ঠিকমতো কাজে লাগানোই আর্ট। এ কয়েকটা দিন খুব ভালোভাবে কাজে লাগান।

যে চাকরিটা অন্তত ৩০ বছর আরাম করে করবেন বলে ঠিক করেছেন, তার জন্য কিছুদিন মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবেন- এটা তো স্বীকার করতেই হবে। এবার বিষয় ভিত্তিক ভাবে কৌশলগুলো আলোচনা করা হল;

বাংলা : ব্যাকরণ, ভাবসম্প্রসারণ (প্রাসঙ্গিক ২০টি বাক্যে), সারমর্ম (২-৩টি সহজ সুন্দর বাক্যে), অনুবাদ-এই টপিকগুলোতে বেশি জোর দিন। পত্র লেখার সময় নিয়মে ভুল করবেন না। কাল্পনিক সংলাপের জন্য বিভিন্ন সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে ধারণা বাড়ান। গ্রন্থ সমালোচনার জন্য কমপক্ষে ৩০টি সুপরিচিত বাংলা বই দেখুন। রচনা লেখার সময় মাইন্ড-ম্যাপিং করে পয়েন্ট ঠিক করে ঘণ্টা পড়ার আগ পর্যন্ত লিখতে থাকুন।

ইংরেজি : ইংরেজিতে ভালো করার মূলমন্ত্র দুটি : এক. বানান ভুল করা যাবে না। দুই. গ্রামাটিক্যাল ভুল করা যাবে না। এই দুটি ব্যাপার মাথায় রেখে একেবারে সহজ ভাষায় লিখে যান, মার্কস আসবেই। কমপ্রিহেনশনের জন্য আইএলটিএস রিডিং পার্টের টেকনিকগুলো অনুসরণ করুন। কিছু প্রামাণ্য বই থেকে গ্রামার ও ইউসেজ প্রচুর প্র্যাকটিস করুন। সামারির জন্য ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদকীয় আর আর্টিকেল সামারাইজ করার চেষ্টা করুন। লেটারের জন্য পত্রিকার লেটার টু দি এডিটর অংশটি দেখুন। রচনা কমন পড়বে না, এটা মাথায় রেখে সাজেশনস রেডি করে প্রস্তুতি নিন।

সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি : আগের বছরের আর ডাইজেস্টের সাজেশনসের প্রশ্নগুলো প্রথমেই খুব ভালোভাবে যথেষ্ট সময় নিয়ে কয়েকবার পড়ে ফেলুন। বিজ্ঞানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র কিংবা ছাত্র না, এটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেবেন না। এ অংশে প্রয়োজনীয় চিহ্নিত চিত্র, সংকেত, সমীকরণ দিতে পারলে আপনার খাতাটা অন্য দশজনের খাতার চেয়ে আলাদা হবে।

গাণিতিক যুক্তি : প্রতিরাতে কিছু না কিছু ম্যাথস প্র্যাকটিস না করে ঘুমাবেন না। শর্টকাটে ম্যাথস করবেন না, প্রতিটি স্টেপ বিস্তারিতভাবে দেখাবেন। কোনো সাইডনোট, প্রাসঙ্গিক তথ্য যেন কিছুতেই বাদ না যায়। একটু বুঝে শুনে পড়লে অঙ্কে ফুল মার্কস পেতে সায়েন্সের স্টুডেন্ট হতে হয় না।

মানসিক দক্ষতা : এ অংশের প্রশ্নগুলো হবে সহজ, কিন্তু একটু ট্রিকি। মাথা ঠাণ্ডা রেখে, ভালোভাবে প্রশ্ন পড়ে, বুঝে, পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে উত্তর করতে হবে। ডাইজেস্টের পাশাপাশি ৩-৪টা আইকিউ টেস্টের বই সলভ করুন; সম্ভব হলে ইন্টারনেটে প্র্যাকটিস করুন। এ অংশে ফুল মার্কস পাবেন না-এটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিন।

বাংলাদেশ বিষয়াবলী : কোন ধরনের প্রশ্ন আসে, সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবে ধারণা নিন। বাংলাদেশের সংবিধানের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল, কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকা থেকে তথ্য-উপাত্ত দিন। পুরো সংবিধান মুখস্থ করার দরকারই নেই। যেসব ধারা থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, সেগুলোর ব্যাখ্যা খুব ভালোভাবে বুঝে বুঝে পড়ুন। সংবিধান থেকে ধারাগুলো হুবহু উদ্ধৃত করতে হয় না।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি : টপিকগুলো গুগলে সার্চ করে করে পড়তে পারেন। উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের সাহায্য নিন। ইন্টারনেটে মোটামুটি সব প্রশ্নের উত্তরই পাবেন। এ অংশের নতুন টপিক প্রবলেম সলভিং কোয়েশ্চেনে ভালো করার জন্য যে ইস্যু কিংবা সমস্যা দেওয়া থাকবে, সেটিকে বিশ্লেষণ করে নানা দিক বিবেচনায় সেটার সমাধান কী হতে পারে, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও আপনার নিজের মতামত ইত্যাদি পয়েন্ট আকারে লিখুন। ভালো করার জন্য নিয়মিত পত্রিকা পড়ার বিকল্প নেই।

সুত্র- প্রথম আলো

উপরে